পথচারীদের বোঝাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
স্রেফ গুজব। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা ছড়াচ্ছে। কখনও চুরি-ডাকাতি, কখনও এলাকায় জঙ্গি ঢুকে পড়ার খবর। তবে, সব রটনাতেই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের কথা। তার ফলে বাড়ছে জনরোষ।
সোমবার রাতে রানাঘাট শহরেই গণপিটুনির শিকার হলেন তিন নির্দোষ ব্যক্তি। তার মধ্যে একজন এলাকারই বাসিন্দা।
মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত পুলিশ সাঁড়াশি আক্রমণের রাস্তাই নিল। মঙ্গলবার থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতার প্রচার শুরু করল পুলিশ। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ধরণের গুজব যারা ছড়াচ্ছে, তাদেরও চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকে এই কাজে নামানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সোমবার হরিণঘাটায় পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রামবাসিদের গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় এ দিন রাতেই পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করে। তার পরেও রাতে রানাঘাট শহরেই ঘটল তিন তিনটি গণ পিটুনির ঘটনা।
ধানলতলার পুরাতন চাপড়ার মিলন মণ্ডল রানাঘাটে একটি বিয়ে বাড়িতে ফুল দিতে এসেছিলেন। রাতে ফেরার পথে নবপল্লীতে তাঁকে চোর সন্দেহে আটকে মারধর করে এলাকার বাসিন্দারা। পরের ঘটনা নতুন শিবপুরের। রানাঘাটের নতুন গোপালপুরের টোটন অধিকারীকেও চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করে এলাকার বাসিন্দারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃতীয় ঘটনা আইশতলার। রাতে পায়চারি করতে বেরিয়েছিলেন। চিনতে না পেরে চোর সন্দেহে তাঁকে মারধর করা হয়।
মঙ্গলবার জেলার প্রায় সব থানা এলাকাতেই পুলিশ সচেতনতামূলক প্রচার করে। জনতাকে বলা হয় আইন নিজের হাতে না তুলে পুলিশকে খবর দিন তাঁরা। কেউ সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যভাবে গুজব রটালে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ সুপার শিষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘মানুষকে আমরা বোঝাচ্ছি। তারা বুঝছেও। যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy