প্রতীকী ছবি।
এলাকার উন্নয়নের জন্য এলাকার বাসিন্দারা সব সময় কংগ্রেসের উপর ভর করে থেকেছে। কিন্তু এই প্রথম কংগ্রেস একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। দ্বিতীয় নয় একেবারে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে। কিন্তু যেখানে বিজেপির কোন অস্থিতই ছিল না সেখানে বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করার পরেও তৃণমূল কে পিছনে ফেলে এগিয়ে আছে বিজেপি। এটা অবশ্য কান্দি পুরসভা এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী। আর ওই ফলাফল নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই কান্দি পুরসভার ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
কান্দি বিধানসভা কংগ্রেসের দখলেই ছিল। কিন্তু এবার তৃণমূলের অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড কংগ্রেসের শফিউল আলম খানের কাছ থেকে ওই আসনটি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ওই বিধানসভার মধ্যেই কান্দি পুরসভা এলাকা। ওই পুরসভা এলাকায় ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে ১৩টি ওয়ার্ড বিজেপি লিড পেয়েছে, আর পাঁচটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে তৃণমূল। সেখানে কংগ্রেসকে একেবারে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। ওই পুরসভায় ২০১৫ সালের ভোটের ফলাফল অনুযায়ী কংগ্রেসের দখলে ছিল পুরসভা। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা দু’বছরে ওই পুরসভার ১৩জন কংগ্রেস কাউন্সিলর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই পুরসভার দু’জন বাম সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর ছাড়া সকলেই তৃণমূলে চলে যান।
ফের ২০২১ সালের ভোটের মুখে ওই পুরসভার বাম সমর্থিত দু’নির্দল কাউন্সিলর–সহ মোট ছয় জন বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির প্রার্থী হয়ে কান্দি কেন্দ্রে ভোটে লড়াই করেন গৌতম রায়। কিন্তু দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সতীর্থ তৃণমূলের ডেভিডের কাছে পরাজিত হতে হয় গৌতমকে।
ওই কেন্দ্রের বিধানসভা ভোটের নিরিখে কান্দি পুরসভা এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৬,৯১৬ টি ভোট, তৃণমূল পেয়েছে ১১,৯৩১ টি ভোট আর কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৪,৫৯২ টি ভোট। ফলে ওই পুরসভা কংগ্রেসকে দখলে পেতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হবে অন্য দিকে পাঁচটি ওয়ার্ড থেকে আরও পাঁচটি ওয়ার্ড দখল করলে তবেই তৃণমূল পুরসভা দখল করতে পারবে।
সেখানে বিজেপি কি ওই জয় পুরসভা ভোট পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে? সেটা নিয়েই জোর জল্পনা শুরু কান্দির রাজনৈতিক কারবারিদের মধ্যে। যদিও কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব বলেন, “প্রত্যেকটা ভোটের চরিত্র পৃথক। ফলে বিধানসভা ভোট যে নিরিখে হয়েছে সেই নিরিখে পুরভোট হবে না। কান্দির মানুষ উন্নয়নে সামনে রেখেই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় ফেরাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।” অন্য দিকে ওই কেন্দ্রের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের শফিউল আলম খান বলেন, “লড়াইটা কঠিন। কিন্তু এই ভোটটা দু’টি ভাগে ভাগ হয়েছে বলেই কংগ্রেসের ফলাফল খারাপ। কান্দি পুরসভা শুধু নয়, কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ এখন থেকেই আফসোস করছেন, তাই ওই ভুল আর দ্বিতীয়বার করবে না। কোভিড পরিস্থিতির পর আমরা পুরভোটকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবো।”
আর বিজেপির কান্দি শহরের নেত্রী বিনীতা রায় বলেন, “কান্দি পুরসভার বাসিন্দা যে ভাবে বিজেপির উপর ভর করেছে তাতে আমরা খুশি। এবং কী কারণে আমরা কান্দিতে পরাজিত হয়েছি সেটা জানতে পেরেছি। সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy