বেলডাঙার মুরগি ব্যবসায়ী বিল্টার এখন ইউটিউবার বিল্টার। — নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদ বেলডাঙার গ্রামীণ বাজারের এক খুপরি ঘর। ওইটাই বিল্টার শেখের দোকান। কাকভোরে উঠে প্রস্তুতি সেরে সকাল ৮ টায় দোকান খোলেন। বেলা ২টো পর্যন্ত মুরগির মাংস বিক্রি করেন। ধোয়া-মোছার কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে বেলা ৩টে। বাড়ি ফিরে স্নান সেরে কোনও রকমে নাকেমুখে দুটো গুঁজে আবার কাজে বেরিয়ে পড়েন। তবে এই কাজটিকে পেশা করবেন বলে ভাবেননি। প্রতি দিনের একঘেয়ে রুটিনে ক্লান্ত বিল্টার অন্য কিছু করে নিজেকে খুশি রাখতে চেয়েছিলেন। তবে সেই শখের কাজ থেকেই এখন বড় অঙ্কের রোজগার করছেন তিনি। বেলডাঙার মুরগি ব্যবসায়ী বিল্টার এখন ইউটিউবার বিল্টার। যেমন নাম ছড়িয়েছে, তেমনই উপার্জন বেড়ে গিয়েছে মধ্য চল্লিশের এই ব্যক্তির।
প্রথম ভিডিয়োটি করেছিলেন নিতান্তই কৌতূহল থেকে। মজার ভিডিয়ো বানানোর সেই শুরু। সমাজমাধ্যমে এখন বিল্টারের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৬ লক্ষ। তবে পরিচিতি এবং অর্থ উপার্জনের পরেও নিজের পুরনো পেশাকে ছাড়ছেন না বিল্টার। এখনও রোজ নিয়ম করে দোকানে যান। বিক্রিবাটা শেষ করে ডুব দেন নিজের শখের কাজে।
বেলডাঙা রেল স্টেশন থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে বাজারে মুরগির মাংস বিক্রেতা বিল্টারের প্রথম ভিডিয়ো বানানো শুরু পাড়ারই কয়েক জনকে নিয়ে। হুড়মুড় করে ‘ভিউজ়’ বাড়তে থাকে। আয়ও বেড়েছে ভালই। কিন্তু তার পরিমাণ ঠিক কত, তা জিজ্ঞেস করলেই দুষ্টু হাসি খেলে যায় বিল্টারের মুখে। বলেন, ‘‘টাকার অঙ্ক বলব না। এটা ইউটিউব পলিসি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তবে বহরমপুরে প্রতি মাসে একটা করে ফ্ল্যাট কেনা যাবে (যা আয় হয়)।’’ স্কুলের গণ্ডি না পার করেও চেষ্টা আর প্রতিভার মেলবন্ধনে রোজগার করছেন।
একই ভাবে হরিহরপাড়ার কলেজছাত্র মাইনুল শেখও নিজের মজাদার ভিডিয়ো তৈরি করে ফলোয়ার্স সংখ্যা বেশ কয়েক লক্ষ পার করে দিয়েছেন। জনপ্রিয় এই দুই ইউটিউবার এখন মুর্শিদাবাদের ‘আইকন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy