তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জনসভার কয়েক ঘণ্টা আগে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক তৃনমুল লোক জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাম আমল থেকে এই ব্লক বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এখন এখানে বিজেপি সমর্থকের সংখ্যা বেশি। তৃণমূল দূরে থাক, বামেরাও আর সেখানে দাঁত ফোটাতে পারে না। তার উপর রানাঘাট উত্তর-পুর্বের বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দারের ক্ষমতার রাশ অনেকটা আলগা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। অন্য অনেক জায়গার মতো এই ব্লকেও আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের অনেকেই পাননি। রয়েছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। এই সুযোগে বিজেপির তাদের শক্তি বাড়িয়ে চলছে।
তুলনায় আশপাশের চাকদহ, বীরনগর, রানাঘাট-১ এর মতো ব্লকে তৃণমূল সমর্থক বেশি। প্রথমে রানাঘাট-২ থেকে আড়়াই থেকে তিন লাখ লোক মমতার সভায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পরে তা বাড়়িয়ে ৫-৭ লাখ করা হয়। কিন্তু এখন অনেকেই মনে করছেন, সেই লক্ষ্য পূরণ হবে না। বাড়়তি লোক আশপাশের ব্লক থেকেই নিতে হবে। রানাঘাট ১ নম্বর ব্লক যেমন প্রায় ১৫ হাজার লোকের জমায়ের করবে বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি বিপুল উকিল বলেন, “তৃণমূল কী করে লোক পাবে? ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দু’চারজনকে হয়তো নিয়ে যাবে। ভয় দেখিয়েও লোক জোগাড় করছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে রানাঘাট-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবাঞ্জন গুহঠাকুরতা বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কাউকে ভয় দেখাচ্ছি না। প্রলোভন দিচ্ছি না। মানুষ স্বেচ্ছায় আমাদের সভায় যাচ্ছেন। বিজেপির সঙ্গে মানুষ নেই। সভা রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকে হওয়ায় সেখনাকার লোক একটু বেশি হবে। দূরের লোক তো কম যাবেই।”
রানাঘাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “এখানে দলের যে কোন কর্মসূচীতে দশ-পনেরো হাজার লোক হয়। সেটা সবাই জানে। বুথের লোক সব সময় আমাদের পাশে থাকেন।” রানাঘাট উত্তর-পুর্বের বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার বলেন, “কে কী বললেন জানি না। সভায় যাওয়ার জন্য বাস সেভাবে পেলাম না। একশোর মতো পেয়েছি। আরও সাতশোর মতো অন্য গাড়়ি যাবে। সব মিলিয়ে আমার বিধানসভা থেকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy