Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Kerosene Prices

Kerosene Price: সেঞ্চুরি পার কেরোসিনে, কদরও কম

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ডিজেলের তুলনায় কেরোসিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছে কেরোসিন তেলের কালোবাজারিও।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

মফিদুল ইসলাম
হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৮
Share: Save:

চলতি মাসে কেরোসিনের দাম বেড়েছে প্রায় ১৪ টাকা। ফলে সেঞ্চুরি পার করে মফস্‌সলের রেশন দোকানে কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা ২৭ পয়সা ও শহরে ১০২ টাকা লিটার। যা ডিজ়েলের তুলনায় প্রায় ১১ টাকা বেশি। রেশন ডিলারদের দাবি অধিকাংশ উপভোক্তা কেরোসিন তেল নিতে চাইছেন না। ফলে ডিলারদের ঘরে জমা থেকে যাচ্ছে ব্যারেল ভর্তির কেরোসিন।

রেশন ডিলাররা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম দিকে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে রেশন দোকানে কেরোসিন তেলের দাম ছিল ৫১ টাকা ৩০ পয়সা। তবে প্রতি মাসে কেরোসিনের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। প্রায় ছ’মাসের ব্যবধানে কেরোসিনের দাম বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। রেশন ডিলাররা বলছেন, গত জুন মাসে হরিহরপাড়া, নওদার মতো মফস্‌সল এলাকায় রেশনে কেরোসিন তেলের দাম ছিল প্রায় ৯০ টাকা ৪৩ পয়সা। কিন্তু জুলাই মাসে কেরোসিনের দাম হয়েছে ১০৫ টাকা ২৭ পয়সা লিটার।

কেরোসিনের তেলের কারবারিরা বলছেন, আগে মফস্‌সলে আলো জ্বালাতে বা রান্নার কাজের জন্য মানুষ বেশি পরিমাণে কেরোসিন তেল ব্যবহার করতেন। বর্তমান সময়ে প্রত্যন্ত এলাকাতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ফলে আলো জ্বালাতে কেরোসিনের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। মাস কয়েক আগেও কেরোসিনের তুলনায় ডিজ়েলের দাম ছিল অনেকটাই বেশি। ফলে একাংশের চাষি ডিজ়েলের পরিবর্তে কেরোসিনেই পাম্পসেট চালাতেন। পরিবেশ দূষণ, বাস, ট্রেকারের যন্ত্রাংশের ক্ষতির কথা না ভেবে অনেক বাস, ট্রেকার মালিকও একপ্রকার বাধ্য হয়েই ডিজ়েলের পরিবর্তে কেরোসিনে বাস, ট্রেকার চালাচ্ছিলেন। রান্নার গ্যাস বা জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকে কেরোসিন চালিত স্টোভের আগুনে সারছিলেন রান্নার কাজ।

কিন্তু সেই কেরোসিনের দাম সেঞ্চুরি পার করায় হতাশ আমজনতা। নওদার এক চাষি ওয়াজেল সেখ বলেন, ‘‘পাঁচ মাস আগেও কেরোসিনের দাম ছিল নাগালের মধ্যে। ফলে সেচের কাজে কেরোসিন তেল ব্যবহার করতাম। এখন ডিজেলের থেকে কেরোসিনের দাম বেশি তাই ডিজ়েল ব্যবহার করছি। রেশন থেকেও কেরোসিন নিইনি।’’

বাস মালিক সংগঠনের এক কর্মকর্তা আনারুল হোসেন বলেন, ‘‘আগে কেউ কেউ কেরোসিন ব্যবহার করলেও মাস কয়েক ধরে তা বন্ধ।’’

তবে কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে চাহিদা নেই একেবারেই। এমআর রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের হরিহরপাড়া ব্লকের সম্পাদক বাবর আলি খান বলেন, ‘উপভোক্তারা প্রতি মাসে গড়ে ৫০০-৫৫০ মিললিটার কেরোসিন তেল পান। দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ উপভোক্তা কেরোসিন তেল নিতে চাইছেন না। ফলে কেরোসিন মজুদ থেকে যাচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ডিজেলের তুলনায় কেরোসিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছে কেরোসিন তেলের কালোবাজারিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kerosene Prices Hariharpara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE