Advertisement
E-Paper

গাছতলায় পাঠশালা, বৃষ্টি হলে ছুটি

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন খয়রামারি পঞ্চায়েতের প্রধান হাদিউল ইসলাম। স্থানীয়দের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় ওঠে আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজাউদ্দিন। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর। সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন খয়রামারি পঞ্চায়েতের প্রধান হাদিউল ইসলাম। স্থানীয়দের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় ওঠে আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজাউদ্দিন। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩১
খোয়া উঠে গিয়ে এমনই হাল রাস্তার। ছবি:সাফিউল্লা ইসলাম

খোয়া উঠে গিয়ে এমনই হাল রাস্তার। ছবি:সাফিউল্লা ইসলাম

• এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকায় আর্সেনিকযুক্ত জলই খেতে হচ্ছে। আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারাও গিয়েছেন।

মাসাদুল ইসলাম, খয়রামারি

বিষয়টি নিয়ে বহুবার দরবার করেছি। বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক বৈঠকেও উত্থাপন করেছি। কিন্তু কেউ কান দেন না। এর আগেও পিএইচই’র সঙ্গেও কথা বলেছি। আবারও বলব।

• পাড়ায় পাকা নিকাশিনালা থাকলেও তা বন্ধ। ফলে বর্ষায় জল জমে গোটা এলাকায়।

ইন্দাদুল ইসলাম, দক্ষিণ খয়রামারি

ওই নালা বর্ষার আগেই পরিষ্কার করি। তবে গ্রামের মানুষ বাড়ির নোংরা ওই নালায় ফেলার জন্য এমনটা হয়।

• গ্রাম থেকে স্কুলে যাওয়ার রাস্তা পুকুরে বিলীন হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পেরোতে হয়।

মনসুর আলি, খয়রামারি

ওই এলাকা নিয়ে কেবল আমি নয়, ব্লকে প্রশাসন এসেও সমস্যাটা মেটেনি। জমি নিয়ে জটিলতা থাকায় ওই রাস্তার সংস্কার বন্ধ।

• খয়রামারি হাট এলাকা এখন ছোট বাজারে পরিণত হয়েছে অথচ এই বাজারে কোনও আলো নেই।

আনারুল হালসানা, হাটপাড়া

কয়েকটি সৌর আলোর ব্যবস্থা করেছি। তবে আগামীতে আরও সেই বাতি বা পথবাতির ব্যবস্থা করা হবে।

• বড়বিলা দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। সংস্কার না হলে আগামীতে ওই বিল ব্যক্তিগত মালিকানা হয়ে যাবে।

ফিরোজ সরকার, রৌশননগর

বিষয়টি নিয়ে আমরাও বড় মুশকিলে। একজন ব্যক্তি ওই বিলের বড় একটা এলাকা দখল করে বসে আছে। আগামীতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে কথা বলব।

•পশ্চিম হাজিপাড়া থেকে পালপাড়া রাস্তা পুকুরের ভাঙনে শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তার জন্য ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

মাইনুল বিশ্বাস, মধ্য বাগিচাপাড়া

জমি জটে আটকে আছে ওই সংস্কার। বারবার উদ্যোগ নিয়েও ওই সমস্যা মেটানো যায়নি।

• গ্রামের শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটি মাটির। বর্ষায় চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। চুল্লি, শেড বা আলোও নেই।

সুখেন মণ্ডল, বালিয়াডাঙা

ওই এলাকায় ইটের রাস্তা তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে ইতিমধ্যে ওই শ্মশানে একটি টিউবয়েল বসানো হয়েছে। আগামীতে লাইট লাগানোর পরিকল্পনা আছে।

• এলাকায় অনেকটা সরকারি জমি ফাঁকা পড়ে আছে অথচ শিশুদের বিনোদনেরও কোনও যায়গা নেই। একটা শৌচাগারও নেই।

হাফিজুল মোল্লা, উত্তর খয়রামারি

ওই এলাকায় নজরুল পাঠাগারের মাঠে পার্ক করা হয়েছে। আগামীতে বড় পার্কের পরিকল্পনা আছে।

• ক্লাবের মোড় থেকে পাতুখাঁর বাড়ি রাস্তার বেহাল দশা। ইট যে ভাবে বেরিয়ে আছে তাতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।

হাফিজুল মোল্লা, উত্তর খয়রামারি

অর্থ সঙ্কটের জন্য অনেক কাজ বাকি। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি সংস্কারের।

• এলাকায় চারটি আইসিডিএস কেন্দ্র আছে অথচ একটিরও বাড়ি নেই। কখনও বারান্দায় বা গাছতলায় পড়তে হয় শিশুদের। বৃষ্টি পড়লে ছুটি।

মোজাফ্ফর হোসেন, ঠাকুরপাড়া

জমি না পাওয়া যাওয়ায় ওই সমস্যা আছে। একটি জমি কিনে কেন্দ্র তৈরি করছি।

Village Panchayat People
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy