Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Berhampore

প্রাথমিকের সব পড়ুয়াকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির দাবি

একই ক্যাম্পাসে মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় যেমন চলে, তেমনই সেখানে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও চলে। উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে বড়জোড় ২৪০টি আসন রয়েছে।

পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির দাবিতে পথ অবরোধ বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির দাবিতে পথ অবরোধ বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৮
Share: Save:

জেএন অ্যাকাডেমির ছায়া এ বারে বহরমপুর মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও। দিন কয়েক আগে ছাত্র ভর্তির দাবিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছিল বহরমপুরের জেএন অ্যাকাডেমিতে। এবারে বহরমপুর মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও ওই বিদ্যালয়েরই প্রাথমিকের সব ছাত্রীকে ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ করলেন অভিভাবকেরা। বুধবার যাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় ওই বিদ্যালয় চত্বরে। তবে এদিন ভর্তির ব্যাপারে কোনও সুরাহা হয়নি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি এসএমএসেরও।

একই ক্যাম্পাসে মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় যেমন চলে, তেমনই সেখানে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও চলে। উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে বড়জোড় ২৪০টি আসন রয়েছে। কিন্তু ওই দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩৪৫ জন ছাত্রী চতুর্থ শ্রেণি পাশ করেছে। বহরমপুর মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দাবি, যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে তাঁরা ২৪০ জনের বেশি ছাত্রী ভর্তি নিতে পারবেন না। অন্যদিকে অভিভাবকদের দাবি, চার বছর ধরে এখানে তাঁদের সন্তানেরা পড়াশোনা করেছে। বাকি ছাত্রীরা কোথায় যাবে? সকলকে ভর্তি নিতে হবে বলে তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন। প্রথমে বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে বিদ্যালয়ের সামনে থাকা কেএন রোড অবরোধ করেন। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চৈতালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী বিদ্যালয়ের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের পডুয়াদের প্রথম ভর্তি করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি দিই। প্রথম দফায় এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। ক্রমশ আমরা ২৪০ জন পর্যন্ত এগোব। তাতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা চাই না কোনও পড়ুয়া শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক। সবাইকে ভর্তি নিতে চাই। কিন্তু আমাকে সব পড়ুয়াকে বসার জায়গা দিতে হবে।’’

মোবাইলে শ্রেণিকক্ষের ছবি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘কিছু পড়ুয়া বেঞ্চে বসে রয়েছে, কিছু পড়ুয়া নীচে বসে, কিছু পড়ুয়া শ্রেণি কক্ষের বাইরে বসে। বছরের পর বছর এটা চলছে। জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকে পড়ুয়াদের ভর্তি করা হচ্ছে। আর তার ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা।’’

একই ক্যাম্পাসে চলা প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তির সমস্যা নতুন কিছু নয়। বিগত কয়েক বছর থেকে এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক পক্ষের দাবি, একই ক্যাম্পাসে চলা প্রাথমিকের সমস্ত পড়ুয়াকে উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি নিতে হবে। অন্যপক্ষের দাবি, উচ্চ বিদ্যালয়ে যে পরিকাঠামো তার থেকে বেশি পড়ুয়া পাঠাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ইতিমধ্যে জেএন অ্যাকাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ে, জেএন অ্যাকাডেমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা সমস্ত পড়ুয়াকে ভর্তির দাবিতে ঘেরাও করেছিলেন। একই ভাবে বুধবার বহরমপুর মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, পাঁচ বছর ধরে তাঁদের মেয়েরা সেখানে পড়াশোনা করেছে। এখন বলা হচ্ছে সবাইকে ভর্তি নিতে পারবে না। তা হলে তাঁদের মেয়েদের কোথায় ভর্তি করানো হবে? তাঁদের দাবি, সকলকে এই বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampore Primary School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE