Advertisement
E-Paper

ধর্ষিতার সন্তানের রহস্য মৃত্যু

মৃত শিশুর বাড়ির লোকের অভিযোগ, শনিবার রাতেও ধর্ষণে অভিযুক্ত হালিমের বাড়ির লোক তাঁদের বাড়ি চড়াও হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০২:১২
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

রেললাইনের পাশে ঝুপড়ি ঘরে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে ছিল মাস দেড়েকের শিশু। পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, রাতে সে অসুস্থ ছিল না। সকালে দেখা যায়, শিশুটি মৃত। নীল হয়ে গিয়েছে শরীর। নাক দিয়ে বেরিয়ে এসেছে রক্ত!

এই রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। তার কারণ প্রথমত, মৃত্যুর ধরন। দ্বিতীয়ত, শিশুর মায়ের অতীত।

অভিযোগ, একাধিক বার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল কোতোয়ালির ঝিটকেপোতার বছর ঊনিশের মূক ও বধির কিশোরী। জেলা সদর হাসপাতালে এই শিশুটির জন্ম দেয় সে। কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে স্থানীয় হালিম মণ্ডলের নামে। পুলিশ হালিমকে গ্রেফতার করে। সে সংশোধনাগারে রয়েছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, বহু বার অভিযুক্তের বাড়ির লোক তাঁদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। শিশুর আচমকা মৃত্যুর পিছনেও তাঁরা যড়যন্ত্রের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। যদিও শ্বাসনালীতে দুধ আটকে শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে বলছেন কেউ কেউ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশেরও সেটাই অনুমান। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মৃত শিশুর বাড়ির লোকের অভিযোগ, শনিবার রাতেও ধর্ষণে অভিযুক্ত হালিমের বাড়ির লোক তাঁদের বাড়ি চড়াও হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় তারা। তখন তাঁরা বাচ্চা আর মা-কে কৃষ্ণনগরে মেয়েটির মাসির বাড়ি পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে খবর আসে যে, বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। রাতে একটি চৌকির উপরে শিশুকে নিয়ে শুয়েছিল ধর্ষিতা কিশোরী, তার বোন ও মাসি। তার বোনের দাবি, “দিদি রাতে দু’ বার বাচ্চাকে দুধ খাইয়েছিল। তার পর ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে বাচ্চাকে কোলে নিতে গিয়ে দেখি দেহে প্রাণ নেই। শরীর নীল।” সেই কারণেই পুলিশের অনুমান, ঘুমের মধ্যে দুধ খেতে গিয়ে শ্বাসনালীতে দুধ আটকেই মৃত্যু হয়েছে শিশুর। কিন্তু মৃত শিশুর মামার দাবি, “হালিমের বাড়ির লোক জন বারবার হামলা চালিয়েছে বাড়িতে। তারা চাইত না বাচ্চাটা বেঁচে থাক। এই মৃত্যুর পিছনে ওদের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা দেখা হোক।”

Crime Rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy