Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আজ জনসভায় মহুয়া, শরণার্থী তত্ত্ব বিজেপির

রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে জেলার বিজেপি নেতারাও ফের হঙ্কার দিয়েছেন। তৃণমূল আজ, রবিবার কৃষ্ণনগরে জনসভার ডাক দিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৮ ০২:২৭
Share: Save:

বিজেপি নেতারা যখন কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শ নিতে ব্যস্ত, ‘কালা দিবস’ পালন করল তৃণমূল।

শনিবার সকালেই তাহেরপুরে রেল অবরোধ করেন মতুয়ারা। সঙ্গে ছিল তৃণমূল। বিকেলে কৃষ্ণনগর স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। চাপড়ায় মিছিল বেরোয়। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে জেলার বিজেপি নেতারাও ফের হঙ্কার দিয়েছেন। তৃণমূল আজ, রবিবার কৃষ্ণনগরে জনসভার ডাক দিয়েছে।

অসমে শিলচর বিমানবন্দরে রাজ্যের যে প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া ইস্তক রাজ্য জুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই দলে ছিলেন করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। টিভিতে তাঁকে নিগৃহীত হতে দেখেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল করিমপুরে। আজ, ‘কালা দিবস’-এর দ্বিতীয় দিনে কৃষ্ণনগরে যে জনসভা ডাকা হয়েছে, মহুয়াই সেখানে প্রধান বক্তা। আবার নাজিরপুরেও জনসভা করবেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই নদিয়া জেলায় বিজেপি যে ভাবে ঘর গোছাচ্ছিল, এই হাওয়ায় তা কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। মতুয়ারা তো আছেনই, ও পার থেকে আসা হিন্দুদের একটা বড় অংশই বিজেপি সরকারের মতিগতি সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় বিজেপি ফের ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘শরণার্থী’ ফারাক করার কৌশল নিচ্ছে, আদতে যা বিভাজনের রাজনীতি বলেই মনে করছে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস নির্বিশেষে বেশির ভাগ দল।

এ দিন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে নদিয়া (উত্তর) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার ফের বলেন, “তৃণমূল ভুল বোঝাতে চাইছে মানুষকে। আমরা সেটা হতে দেব না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট— শরণার্থীরা থাকবেন, আর অনুপ্রবেশকারীরা চলে যাবে।” তিনি জানান, তৃণণূলের প্রচারকে প্রতিহত করতে মণ্ডলে-মণ্ডলে মিছিল ও স্ট্রিট কর্নার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী দিনে তাঁরা সর্বশক্তি দিয়ে রাস্তায় নামবেন।

নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত পাল্টা হুঙ্কার দেন, “মানুষ বুঝে গিয়েছেন, কী বিরাট চক্রান্ত হচ্ছে। আমরা এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না।” বিজেপি সরকারের তৈরি করা নাগরিকত্ব পঞ্জি নিয়ে কংগ্রেস বা বামেরা এখনও তেমন মাঠে নামেনি। ফলে বিষয়টা কার্যত তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথে পর্যবসিত হয়েছে। তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা বলেন, ‘‘আমরা কোনও নাগরিকের নাম বাদ দিতে দেব না।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে-ও বলেন, ‘‘নাগরিকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না, এই দাবি আগেই জানিয়েছি।’’ কলকাতায় রাজ্য স্তরের কর্মসূচির পরে তাঁরা জেলায় আন্দোলনে নামবেন বলে জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Assam NRC BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE