পথে: ক্লাসঘরের দাবিতে চলছে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র নিজস্ব চিত্র
প্রাথমিক স্কুলে যথাযথ পরিকাঠামো ও স্থায়ী শ্রেণিকক্ষের দাবিতে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। সোমবার তেহট্টের বেতাই বাসস্ট্যান্ডে প্রায় চল্লিশ মিনিট এই অবরোধের যানজ হয়। পরে স্কুল পরিদর্শক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহাও যান। আশু সুরাহার প্রতিশ্রুতি পেলে অবরোধ ওঠে। পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বেতাই বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে দেওয়াল ঘেঁষে রয়েছে সিভিলগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি শ্রেনির পঠনপাঠন চলে। কিন্তু অফিসঘর বাদ দিয়ে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র দু’টি। স্কুলে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৪১৮ জন। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রসংখ্যা ১১৬, একটি ছোট শ্রেণিকক্ষে তাদের ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২০১৭ সালে স্কুল চত্বরে একটি ভবন ভাঙা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তা ফের তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি। খোলা জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষিকারা। বৃষ্টি হলে সমস্যা বাড়ছে। স্কুলে রান্নাঘরও নেই। রান্না করতে হচ্ছে অন্য জায়গায়। খাবারের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অবরোধকারী অভিভাবকেরা।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শিখা বিশ্বাস, পিঙ্কি বিশ্বাস, চুমকি হালদারেরা বলেন, “শিশুরা যে ভাবে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করছে, তা অত্যন্ত সমস্যার। ত্রিপল টাঙানো থাকলেও বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।” সিভিলগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা দেবযানী পাল বলেন, “একাধিক বার লিখিত ভাবে আমাদের সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা হয়নি।”
এ দিন তেহট্ট ১ চক্রের স্কুল পরিদর্শক গীতশ্রী মণ্ডল অবশ্য আশ্বাস দেন, “উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া গেলে নতুন ক্লাসঘর তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বেতাই হাইস্কুলে সকালে ক্লাস করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে।” বিধায়ক বলেন, “নির্দিষ্ট সঙ্গে সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy