Advertisement
E-Paper

বৃষ্টি হলে ঢেউ খেলে রাস্তায়

বাঁশবেড়িয়া বৈদ্যনাথ স্মৃতি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজ মোল্লা বলেন, “স্কুলের প্রায় আড়াইশো ছাত্র ছাত্রীকে ওই রাস্তায় জমা জলের মধ্যে দিয়ে আসতে হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০২:২৬
বৃষ্টি হলে স্কুলে যাতায়াত এই ভাবেই। নিজস্ব চিত্র

বৃষ্টি হলে স্কুলে যাতায়াত এই ভাবেই। নিজস্ব চিত্র

এলাকার মানুষের দাবি রাস্তাটি মেরামত করা হোক। তার জন্য চিঠিচাপাটি, স্মারকলিপি, কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু এত চেষ্টাতেও টনক নড়ানো যায়নি প্রশাসনের কর্তাদের। ফলে এই বর্ষাতে জল ঠেলে স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পেনশন, বার্ধক্য ভাতার টাকা কী ভাবে তুলতে যাবেন তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এলাকার বৃদ্ধবৃদ্ধা ও তাঁদের পরিবার।

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল বাঁশবেড়িয়া থেকে মুরুটিয়া যাওয়ার পথে চারমাথার মোড়ের রাস্তাটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তাটি ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ। চারমাথার মোড়ের প্রায় একশো মিটারের মধ্যেই রয়েছে একটি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডাকঘর ও একটি বেসরকারি শিশু বিদ্যালয়। সবাইকেই ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সমস্যার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ হোগলবেড়িয়ার বাঁশবেড়িয়া এলাকার লোকজনের। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম মণ্ডল বলেন, ‘‘ফি বছর বর্ষার সময় রাস্তা জলের নীচে চলে যায়। ফলে রোজ ছো়টখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। দিন তিনেক আগেও একটি টোটো যাত্রী নিয়ে উল্টে যায়।’’

বাঁশবেড়িয়া বৈদ্যনাথ স্মৃতি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজ মোল্লা বলেন, “স্কুলের প্রায় আড়াইশো ছাত্র ছাত্রীকে ওই রাস্তায় জমা জলের মধ্যে দিয়ে আসতে হয়। অনেকদিন ওই রাস্তার জলে পড়ে গিয়ে জামা প্যান্ট বই ভিজিয়ে স্কুলে আসে। বাধ্য হয়েই তাদের ছুটি দিয়ে দিতে হয়।’’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেণু মণ্ডল জানান, বৃষ্টি হলেই ওখানে অনেক জল জমে যায়। স্কুলে আসার অন্য কোনও রাস্তা না থাকায় ওই পথ পেরিয়েই খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, “বৃষ্টি হলে রাস্তায় ঢেউ খেলে। ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় করে।’’ জমশেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও এলাকার বাসিন্দা সবুরা বিবি বলেন, “ওই রাস্তায় এর আগে দু’বার সারানো হয়েছে। দু’দিকে উচু বাড়ি থাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে। বিষয়টি পঞ্চায়েত জানে। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটি সারানো হবে।”

করিমপুর ১ বিডিও সুরজিৎ ঘোষ জানান, ‘‘সমস্যার কথা জানি। কয়েক দিনেই রাস্তা মেরামত করা হবে।’’

Roads Rain Damage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy