অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সাগরদিঘির ফল নিয়ে আশাবাদীই ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেসের কোনও আসন নেই। সাগরদিঘিতে জিতলে অন্তত বিরোধীপক্ষ থেকে আমরা কথা বলার সুযোগ পাব। আজকে রাজ্যের বিধানসভায় দু’টি সাম্প্রদায়িক দল আছে। স্বাভাবিক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি দুর্বল হচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী জেতা মানে অন্তত তৃতীয়পক্ষের মতামত মানুষের কাছে প্রতিফলিত হবে।’’ তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, কংগ্রেস ভোটে জিততে পারেনি, এখন নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে নজর কাড়ার চেষ্টা করছে। তৃণমূলই সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। তৃণমূল নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাগরদিঘিতে প্রচারে গিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের ছবি সহ প্রমাণ দিয়েছেন।
অধীরের অবশ্য দাবি, ‘‘রাজ্যে যাঁরা ক্ষমতায়, তাঁরা সন্ত্রাসকে, সূক্ষ্ম ভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করে ক্ষমতা এসেছেন। যাঁরা বিরুদ্ধে তাঁরা খোলাখুলি সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করে এসেছে। ফলে মাঝে যে শক্তি তা দুর্বল হয়েছে। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস জিতলে মানুষের কাছে বার্তা যাবে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটের বিরুদ্ধে, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদ জরুরি হয়ে পড়েছে এবং মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধ করতে পারলে তৃণমূল পরাজিত হতে পারে এই বার্তা যাবে।’’ ডিএ আন্দোলন নিয়ে অধীর এ দিন বলেন, ‘‘সরকার মনে করে পঞ্চায়েত ভোট আগে। এই কর্মচারীদের ভোটে আমার ভাগ্য নির্ধারিত হবে না। এঁদের দিকে তাকানোর দরকার নেই। সরকারি কর্মচারি-শিক্ষক এরা প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু এদের কাছে তো ভোট ব্যাঙ্ক নেই। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের ভয় করে না।’’ তৃণমূল এই অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy