পরিবারের সঙ্গে। নিজস্ব চিত্র Stock Photographer
প্রায় আট মাস পরে এক মূক ও বধির মহিলাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মালদহ জেলার পুকুরিয়া থানার এক বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় মহিষাস্থলী গ্রামের মিনুরা খাতুন নামে ওই মহিলাকে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিনুরা ডিসেম্বরে শ্বশুরবাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। খোঁজ পায়নি পুলিশও। তিনি নিরক্ষরও। এ দিকে দিদির খোঁজ না পেয়ে পরিবারও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। সন্দেহ হয়, তা হলে বুঝি স্বামীই তাঁকে মেরে ফেলেছে। এই সন্দেহেই মহিলার দাদা জঙ্গিপুর আদালতের শরণাপন্ন হন। শমসেরগঞ্জ থানার ওসি সুমিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘অবশেষে খবর আসে এই রকমই দেখতে মূক ও বধির এক মহিলা মালদহের পুকুরিয়া থানার এক গ্রামে রয়েছেন।” মঙ্গলবার রাতে তাঁর পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই উদ্ধার করে আনে পুলিশ। বুধবারই তাকে জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করে আদালতের নির্দেশে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় মেয়েকে। পুকুড়িয়াতে যে পরিবারে মনুরা থাকতেন, তাঁদের প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল তিনি তাঁদেরই পরিবারের হারিয়ে যাওয়া মূক-বধির কন্যা। তাঁদের সে ভুল ভাঙলে পরে মিনুরা আশ্রয় পান রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তির কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy