Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন নিয়োগ নিয়ে আপত্তি

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা ও আরও দু’টি পদে নিয়োগ হয়। তার জন্য কোনও বিজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে একাধিক কর্মপ্রার্থী আবেদন করতে পারেননি।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

মাসখানেক আগে চুক্তির ভিত্তিতে তিন জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র সাধারণ সম্পাদক তথা ইতিহাসের অধ্যাপক অলোক ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য সরকার নিয়োগ নিয়ে যে বিধি তৈরি করেছে, তার কিছুই মানা হয়নি ওই তিনটি নিয়োগের ক্ষেত্রে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা ও আরও দু’টি পদে নিয়োগ হয়। তার জন্য কোনও বিজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে একাধিক কর্মপ্রার্থী আবেদন করতে পারেননি। একাধিক অধ্যাপকের অভিযোগ, ওই তিন পদে উপাচার্য নিজের মতো করে তিন জনকে নিয়োগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট একাধিক রায়ে বলেছে, চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী চাকরির ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপন দিয়ে একাধিক প্রার্থীকে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় সমতার অধিকার লঙ্ঘন হবে। তা ছাড়া, দূরশিক্ষার অধিকর্তা চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পেতে পারেন না। মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকা রয়েছে, অধ্যাপক পদমর্যাদার কাউকে পূর্ণ সময়ের জন্য ওই পদে বসাতে হবে। বছরখানেক আগে রাজ্য সরকার নির্দেশ জারি করেছে, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর বয়স কখনও ৬৫ বছরের বেশি হবে না। অথচ তেমনই এক জনকে চুক্তির ভিত্তিতে অধিকর্তার পদে বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানাচ্ছেন, নানা কারণে ২০১৮ সালে দূরশিক্ষা বিভাগে ছাত্র ভর্তির অনুমতি পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কোন-কোন বিশ্ববিদ্যালয় দূরশিক্ষার পাঠ্যক্রম চালাতে পারবে, কমিশন প্রাথমিক ভাবে সেই তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেখানে কল্যাণীর নাম ছিল। অনেক কষ্টে মিলেছিল ছাত্র ভর্তির অনুমতি। যে ভাবে নিয়ম ভাঙা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কমিশনের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। অলোক জানান, যেহেতু রেজিস্ট্রার নিয়োগপত্রে সই করেন, তাই প্রাথমিক ভাবে তাঁকেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রারের দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, বিষয়টি তারা দেখছে। উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Kalyani University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE