Advertisement
E-Paper

পুলিশকে বোমা, মোলান্দি থেকে গ্রেফতার ৫ জন

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে পুরনো একটি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে বড় চাঁদঘর এলাকার মোলান্দি গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:৫৮
উপরে, জখম সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজস্ব চিত্র

উপরে, জখম সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজস্ব চিত্র

পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মারার ঘটনায় আরও দু’জন গ্রেফতার হল। এই নিয়ে তিন মহিলা-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, দুই ধৃতের নাম সাবিবুল সেখ ও জেনিভা বিবি। তাদের বুধবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাবিবুলকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। অপর জনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জে মোলান্দি এলাকায় থমথমে পরিবেশ রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে পুরনো একটি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে বড় চাঁদঘর এলাকার মোলান্দি গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। দূস্কৃতীরা তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা থেকে বড় পুলিশ বাহিনী গ্রামে যায়। তা দেখে দূষ্কৃতীরা গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে বোমা ছুড়তে থাকে। কালীগঞ্জ থানার ওসি সৌরভকুমার চট্টোপাধ্যায় ও মহম্মদ আলি মোল্লা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাতে আহত হন। কালীগঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় সিপিএমের পলাশি এরিয়া কমিটির সম্পাদক হকসাদ মণ্ডল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে শতাধিক লোকের এতে জড়িত থাকার কথাও লেখা হয়েছে।

তৃণমূলের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের জয়লাভের পর সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রামের মাঠে প্রায়ই বোমা ছোড়ে। সোমবার বিকালেও সেই ঘটনাই ঘটে। তবে সিপিএমের দাবি, তাদের এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে এলে সে পালিয়ে যায়। পরে সিপিএম কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমা মারে। তাদের কর্মীরাও পাল্টা জবাব দেয়। পুলিশ মাঝে পড়ে আহত হয়। স্থানীয় সিপিএম নেতা নূর মোহাম্মদ সেখের দাবি, “তৃণমূল পুলিশের সাহায্য নিয়ে আমাদের ফাঁসাচ্ছে। ওই দিন আমি ও হকসাদ গ্রামে ছিলাম না। আমাদের নাম জড়িয়ে দিয়েছে।”

ওই পঞ্চায়েতে এলাকায় তৃণমূলের সভাপতি বরুণ সিংহ রায়ের পাল্টা দাবি, “রাজনৈতিক চরিতার্থ করতে ওরা এই সব বলছে। ওরা পুলিশকে বোমা মারে। পুলিশ বেরিয়ে গেলে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে।”

কালীগঞ্জের বাসিন্দা, সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস আচার্যের দাবি, “পুলিশকে বোমা মারার মতো কাজ করার কথা আমরা বলিও না, করিও না। অবিলম্বে সর্বদলীয় সভা করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।” কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সিপিএম এত বোমা কোথা থেকে পাচ্ছে, সেটা আগে জানা দরকার।” পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রামে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পূর্বপাড়ার এক পেয়ারাবাগানের পাশে ও গমের জমি থেকে দু’টি ড্রামে ২৭টি সকেট বোমা মিলেছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

Kaliganj bombing on police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy