Advertisement
E-Paper

ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে শামিম

লিয়াকত বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলের মধ্যে শামিম বড়। ছোট ছেলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। অভাবের সংসার। তাই ছোট থেকেই দুই ছেলে দোগাছি গ্রামে দাদুর বাড়িতে থাকে। প্রতি মাসে পড়াশোনার খরচ বাবদ কিছু নগদ টাকা পাঠিয়ে দিই। সাধ্যে যা কুলোয় আর কী।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:৫৬
শামিম শেখ

শামিম শেখ

বাবা টোটো চালান। চার জনের সংসারে সম্বল বলতে ওটুকুই। নিত্য অভাবকে সঙ্গী করেই এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৩৯ নম্বর পেয়েছে থানারপাড়া থানার পিপুলখোলা ঘিয়াঘাটপাড়ার শামিম শেখ। নতিডাঙা অমিয় স্মৃতি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল সে।

শামিমের বাবা লিয়াকত শেখ পেশায় টোটো চালক। লিয়াকত বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলের মধ্যে শামিম বড়। ছোট ছেলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। অভাবের সংসার। তাই ছোট থেকেই দুই ছেলে দোগাছি গ্রামে দাদুর বাড়িতে থাকে। প্রতি মাসে পড়াশোনার খরচ বাবদ কিছু নগদ টাকা পাঠিয়ে দিই। সাধ্যে যা কুলোয় আর কী।’’

জানালেন, এক বছর আগে একটা পুরনো টোটো কিনেছেন। সারা দিন সেই টোটো চালিয়ে গড়ে তিনশো টাকা আয় হয়। তা থেকেই সংসার চালানোর পাশাপাশি দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ চলে।

শামিমের মা সানয়ারা বিবি বলেন, “ছোট থেকেই পড়ার জন্য ছেলেকে বলতে হয়নি। নিজের যখন ইচ্ছে হয়, তখন পড়তে বসে। কষ্ট করে হলেও তিন জন গৃহশিক্ষক রেখেছিলাম। তাঁরাও খুব সাহায্য করেছেন।’’ সব বিষয়েই নয়ের ঘরে নম্বর পেয়েছে শামিম। ভালবাসে বিজ্ঞান। তাই করিমপুর জগ্ননাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে সে। স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।

কিন্তু কী ভাবে উঁচু ক্লাসে পড়ার খরচ সামলাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় তার বাবা-মা। শামিম বলল, ‘‘স্বপ্ন দেখে যাই। তার পর... দেখা যাক।’’

Shamim Engineer Toto শামিম শেখ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy