Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অন্তঃসত্ত্বার বাড়ি গিয়ে দুঃখপ্রকাশ

এই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বার স্বামী শান্তিপুরের শিশুকল্যাণ প্রকল্প আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানান। এর পরেই রবিবার তাঁদের বাড়িতে যান সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের কর্মীরা।

অন্তঃসত্ত্বার কাছে দুঃখপ্রকাশ আইসিডিএস কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র

অন্তঃসত্ত্বার কাছে দুঃখপ্রকাশ আইসিডিএস কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০২:১৯
Share: Save:

শান্তিপুরের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সুপুষ্টি দিবস পালনের দিন অন্তঃসত্ত্বার সামনে খাবারের থালা দিয়ে পরে তা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর বিরুদ্ধে। রবিবার ওই অন্তঃসত্ত্বার বাড়ি গিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মী।

শুক্রবার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নদিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সুপুষ্টি দিবস পালন করা হয়। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয় শান্তিপুরের বড় গোস্বামীপাড়া এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগ, ভগবতী দাস রোডের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাধুখাঁর সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মৌমিতা সাধুখাঁকে কেন্দ্রে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর সামনে থালা সাজিয়ে দেওয়া হয়। ছবিও তোলা হয়। কিন্তু ছবি তোলার পরেই সব খাবার সরিয়ে নিয়ে তাঁকে জানানো হয় এগুলি শুধু মাত্র ছবি তোলার জন্য।

এই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বার স্বামী শান্তিপুরের শিশুকল্যাণ প্রকল্প আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানান। এর পরেই রবিবার তাঁদের বাড়িতে যান সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীও ছিলেন। তাঁরা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।

বিশ্বজিৎ সাধুখাঁ এ দিন বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা বাড়িতে এসে ওই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে গিয়েছেন। এমন ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে।” কিন্তু থালা-ভর্তি খাবারের সামনে বসিয়েও কেন অন্তঃসত্ত্বাকে তা খেতে দেওয়া হল না? সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী পান্না দে বলছেন, “এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।” শান্তিপুরের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের সুপারভাইজার বাসনা হালদার আগের দিন দাবি করেছিলেন, মৌমিতার আগে গর্ভপাত হওয়ায় তাঁকে এত খাবার দেওয়া হয়নি। রবিবার তাঁকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। শান্তিপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রানাঘাট ১ ব্লকের শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক মদনকুমার দাস বলছেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত শুক্রবার খাবার দিয়ে সরিয়ে নেওয়ার সেই ছবি।

মৌমিতা বলছেন, ‘‘মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছি। বিহিত চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shantipur Anganwadi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE