শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি আচাব। —নিজস্ব চিত্র
বিয়ে হয়েছে দিনপাঁচেক আগে। রীতি মেনে জামাই আচাব আলি শেখ শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন। এরই মধ্যে রহস্যজনক ভাবে শ্বশুরবাড়ির পিছনে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশঙ্কজনক অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই যুবককে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
আনন্দবাসের ওই ঘটনায় জখম আচাবের দাদা ইসলাম শেখ ভাইয়ের স্ত্রী কোহিনুর বিবি, শ্বশুর সামসুল শেখ ও শ্যালক আমির হোসেন শেখের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিনই কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আচাবের বাড়ি কোতোয়ালির কুন্দপাড়া গ্রামে। গত শুক্রবার তাঁর বিয়ে হয় পাশের আনন্দবাস গ্রামের বাসিন্দা কোহিনুরের সঙ্গে। ওই গ্রামেই আচাবের সিমেন্টের পাত্র ও পিলারের কারবার রয়েছে। রবিবার বিকেলে বউকে নিয়ে আচাব আসেন শ্বশুর বাড়িতে। অষ্টমঙ্গলা সারতে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহারে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। বাড়ির সকলের সঙ্গেই নব দম্পতি হাসিখুশিতেই ছিল।
এরই মধ্যে এ দিন সকালে বাড়ির পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় আচাবকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর শালা আমির হোসেন শেখ। তার কথায়, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। বোন কোহিনুর এসে আমাদের ডাকাডাকি করতে থাকে। বোন জানায়, আচাবের কোনও হদিস মিলছে না। তখনই ঘরের পিছনে খুঁজতে গিয়ে দেখি জামাইবাবু রক্তাক্ত আবস্থায় পড়ে আছে। পাশে পড়ে আছে একটি বড় হাঁসুয়া।” নববধূ কোহিনুর জানাচ্ছেন, তাঁর স্বামী ভোর ৫টা নাগাদ বাথরুমে গিয়েছিলেন। তারপর না ফেরায় চিন্তিত হয়ে তিনি বাড়ির লোকজনকে ডাকাডাকি করেন। ভাবতে পারছেন না এমনটা কী ভাবে হল।
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, আচাবের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। এক জনের বয়ানের সঙ্গে অন্য জনের বয়ানের বিস্তর ফারাক রয়েছে। পুলিশ হাঁসুয়াটিকে উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর জখম আচাবের বাড়ির লোকজন চাইছেন, পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy