E-Paper

জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারে তরজা শুরু

শাসক দল তৃণমূলের বিধায়ককে দু'বার গ্রেফতার করার ঘটনায় দলের নিচুতলার নেতা ও কর্মীরা দলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

কৌশিক সাহা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ০৮:২২
কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় চলছে তল্লাশি জীবন কৃষ্ণের বাড়িতে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় চলছে তল্লাশি জীবন কৃষ্ণের বাড়িতে।

আর কয়েক মাস বাদেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো ওই ভোটের প্রাথমিক পর্যায়ের পক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় ফের আরও এক বার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার বড়ঞা থানার আন্দির বাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা।

রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করাটা বিজেপির এটা রাজনৈতিক অস্ত্র বলে দাবি করে তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা প্রায় দেড় বছর বিচারাধীন বন্দি থাকার পরে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে৷ চার্জশিট জমা দিয়ে কেন বিচারব্যবস্থাকে তরান্বিত করতে গাফিলতি করা হচ্ছে? গোটা বিষয়টি মানুষ জানতে চান, আমরাও জানতে চাই। কিন্তু সেই ব্যবস্থা না করে ভোটের সময় সিবিআই ও ইডিকে নিয়ে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব।’’

ওই বিষয়ে চুপ করে বসে থাকেননি বিজেপি নেতৃত্ব। জেলার অন্যতম বিজেপি নেতা তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথমত বিজেপির এতটা খারাপ সময় হয়নি যে সিবিআই বা ইডিকে ব্যবহার করে রাজনীতি করতে হবে। বিজেপি কোনও দিনই সিবিআই ইডি নিয়ে রাজনীতি করেনি করবেও না।’’ গৌরিশঙ্কর বলেন, ‘‘বিধায়কের গ্রেফতার হওয়া, জামিন পাওয়া সেটা সম্পূর্ণ বিচারাধীন বিষয়। সিবিআই বা ইডি কেন বিচার দিতে পারছে না সেটা দেখার জন্য আদালত আছে।’’

শাসক দল তৃণমূলের বিধায়ককে দু'বার গ্রেফতার করার ঘটনায় দলের নিচুতলার নেতা ও কর্মীরা দলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘এখন কি কারণে ইডি আমাদের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে সেটা দেখতে হবে। তবে বিধায়ক তাঁর জনসংযোগ করছিল, দলের সংগঠনের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা সংগঠনের কাজ সামলাচ্ছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’ অপূর্ব বলে, ‘‘ইডি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ৫৮৯২টি মামলা দায়ের করেছে। সেখানে মাত্র ০.১৩ শতাংশ দোষী সাবস্ত হয়েছে, মানে মাত্র ৮ জন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jiban Krishna Saha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy