Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জাতীয় সড়কের ধারে এ বার সরকারি মোটেল

দীর্ঘ যাত্রার মাঝে খানিক জিরিয়ে নেওয়া, অল্পবিস্তর খাওয়া-দাওয়া আর একটা পরিষ্কার শৌচালয়— এই প্রাপ্তিটুকু মেটাতেই রাজ্য সরকারের ‘পথের সাথী’ প্রকল্প।

ঘুমিয়ে পড়বে নাতো? — নিজস্ব চিত্র

ঘুমিয়ে পড়বে নাতো? — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৬ ০৬:৫১
Share: Save:

দীর্ঘ যাত্রার মাঝে খানিক জিরিয়ে নেওয়া, অল্পবিস্তর খাওয়া-দাওয়া আর একটা পরিষ্কার শৌচালয়— এই প্রাপ্তিটুকু মেটাতেই রাজ্য সরকারের ‘পথের সাথী’ প্রকল্প।

ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া, বীরভূম মুখ দেখেছে পথের সাথীর। তবে সেগুলি গড়ে তোলা হয়েচে এমন জায়গায় যে মাস খানেকের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে তারা। এ বার নদিয়াও পেল পথের সাথী। কিন্তু কত দিনের জন্য, জেগে থাকবে তারা, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।

উত্তরঙবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার সড়ক পথে যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা হল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।

ওই রাস্তা দিয়ে বহু যাত্রী-পর্যটক যাতয়াত করেন। তাঁদের সুবিধের কথা ভেবে রাজ্য সরকার ওই মোটেল খোলা হয়েছে। মোটেলে ২৪ ঘণ্টা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার কথা হয়েছে। গত মার্চ মাসেই মোটেল তৈরির কাজ সেষে হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারও জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে, মটেলগুলি চালু করার। জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ওই মোটেলগুলি চালানোর ভার দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘পূর্ত দফতর মটেলগুলি তৈরি করেছে। তবে মটেলগুলি এখনও আমাদের হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তর করলেই সেগুলি চালু করা হবে।” জেলাশাসক জানান, ওই সব মটেলগুলি চালু হলে সরকারি বাসগুলি যাতে ওই মোটেলগুলিতে দাঁড়ায় তার জন্য পরিবহণ সংস্থাগুলিকে চিঠি দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে নদিয়ার রানাঘাটের ঘাটিগাছায়, শান্তিপুরে, কৃষ্ণনগরের পিডব্লিউডি মোড়ে ও কালীগঞ্জের দেবগ্রামে চারটি মোটেল তৈরি হয়েছে। ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে কাজ শুরু হয়েছিল। গত মার্চ মাসে সে সব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক জানান, মোটেলগুলি শীঘ্রই জেলাশাসকে হস্তান্তর করা হবে। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগরের মোটেলে অ্যাপ্রোচ রোডের সামান্য কাজ বাকি রয়েছে। সে কাজও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।

কি পরিষেবা থাকবে মটেলগুলিতে?

জেলাশাসক জানান, “দীর্ঘ যাত্রায় ২৪ ঘণ্টা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তা ছাড়াও সাইবার ক্যাফে-সহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। জেলাশাসকের দাবি, ঘূর্ণির হাতের কাজ থেকে ফুলিয়ার তাঁত বিক্রির জন্য ‘পথের সাথীতে’ কাউন্টার খোলা হবে। থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি।

কিন্তু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কি ২৪ ঘণ্টা এই ধরনের মোটেল চালাতে পারবেন? প্রশ্নের উত্তরে জেলাশাসক অবশ্য বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই প্রকল্প চালাতে পারবেন কি না। না পারলে অন্য ব্যবস্থার নিতে রাজ্য

সরকারকে জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

national highway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE