দোতলার ক্লাস ঘর থেকে থুতু ছেটানোয় শাসন করেছিলেন শিক্ষক। তবে ঘটনায় দাঁড়ি পড়ল না সেখানেই, গড়াল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। যা দেখে জেলার পুলিশ কর্তারাও আকারে ইঙ্গিতে বোঝাচ্ছেন, স্কুলে বেয়াদপিতেও এ বার ছাড় দেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ল বলে! না হলে, শিক্ষকের দু’ঘা বেতের শাসনে এক্কেবারে থানায়!
স্কুলের নাম নাকাশিপাড়া হাইস্কুল।
বুধবার বিকেলে, সে স্কুলের দোতলার ক্লাস ঘর থেকে থুতু ছিটিয়েছিল কেউ। যা এসে পড়েছিল এক শিক্ষকের গায়ে। সন্দেহ হওয়ায় দশম শ্রেণির তিন ছাত্রকে তলব করে জেরা করছিলেন শিক্ষকেরা।
স্বীকার করতে না চাওয়ায়, দু’ঘা বেতের বাড়িও পড়েছিল ছাত্রদের গায়ে। মেনে নিচ্ছেন সিক্ষকেরা। অভিযোগ, তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এক ছাত্র। গায়ে জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার সেই ছাত্রকে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়েও দেওয়া হয়।
তবে, ওই ছাত্রের বাবার দাবি, “নিছকই সন্দেহ, তার জেরে আমার ছেলেকে সকলের সামনে বেত পেটা করা হল কেন? এমন মার মারা হল যে ছেলেটা অসুস্থই হয়ে পড়ল!’’
নাকাশিপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকও মেনে নিয়েছেন, “ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তোলাটা ঠিক নয়। তবে তা নিয়ে একেবারে থানা-পুলিশ করাটাও নিতান্তই বাড়াবাড়ি।’’ ব্যাপারটা নিয়ে তিনি স্কুলের শিক্ষক এমনকী স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তবে আক্ষেপ যাচ্ছে না তাঁর, ‘‘তা বলে শিক্ষকের শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একেবারে থানায়!’’
জেলা স্কুল দফতররের এক কর্তাও বলছেন, ‘‘সহিষ্ণুতা ব্যাপারটাই চলে যাচ্ছে। স্কুলে শিক্ষকেরা শাসন করবেন না তো কি বাইরের লোক এসে বকবে? সে জন্য থানায় নালিশ ঠোকার কোনও মানে হয়!’’
কিন্তু, সে কথা শুনছে কে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy