অবরোধ। নিয়মিত পঠনপাঠন ও সবাইকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি ছাত্রীদের। বুধবার, কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
টেস্ট পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে কয়েক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করলেন কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের ছাত্রীরা। পরে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলাশাসক তথা কলেজের প্রশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “সমস্ত ছাত্রীই পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সপ্তাহ খানেক আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ হাজিরা না থাকলে তৃতীয় বর্ষের অনার্সের টেস্ট পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। বুধবার সব বিষয়ে অনার্সের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু দেখা যায়, সমস্ত বিষয়ে মাত্র ১৩ জন পড়ুয়ার ৭৫ শতাংশ হাজিরা আছে। কেবলমাত্র তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। এর পরই পড়ুয়ারা কলেজের গেটে তালা দিয়ে কলেজের সামনে কৃষ্ণনগর শহর থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি।
খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠান জেলাশাসক। এ দিন কলেজে ছিলেন না অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। অধ্যক্ষ বলেন, “ওই মেয়েদের অনেকের ১ শতাংশও হাজিরা নেই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মানতে চেয়েছিলাম।” ছাত্রীদের পাল্টা দাবি, ঠিক মতো ক্লাস হয় না বলেই তাঁরা কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী পায়েল মণ্ডলের অভিযোগ, “আমি পলাশি থেকে আসি। কিন্তু অত দূর থেকে এসে দেখি বেশির ভাগ দিনই ক্লাস হচ্ছে না। তাই আসাটা অনিয়মিত করে দিয়েছিলাম।” মানবীদেবী পড়ুয়াদের দাবি মেনে নিয়েই বলছেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আমি অনেক বার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy