সি এম ও এইচ অফিসে বিক্ষোভ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। ছবি : সংগৃহীত।
নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরই দফতরের কর্মীরা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিএমওএইচ জ্যোতিষচন্দ্র দাস দাবি করেন, তিনি হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি করাতেই মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সিএমওএইচ-এর কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের স্বাস্থ্য শাখার নেতাকর্মীরা। কিন্তু দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা চলাকালীন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই তাঁরা বেরিয়ে এসে সিএমওএইচ-এর ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘণ্টা দুয়েক অবস্থান বিক্ষোভ চলে। এর পর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চলে গেলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও দফতর থেকে বেরিয়ে যান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, কর্মীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের বসার সমস্যা হচ্ছে। পর্যাপ্ত শৌচাগার না থাকায় মহিলা কর্মীরা সমস্যায় পড়ছেন। এর আগেও সিএমওএইচ-কে বারবার বলে ফল হয়নি। সংগঠনের নদিয়া জেলার কমিটির সভাপতি রাজেশ সাহা বলেন, “এখানে কাজ করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা এতটাই কম যে সবাই ঠিক মত বসে কাজ করতে পারেন না। একটা প্রিন্টার সবাই মিলে ব্যবহার করছেন। কম্পিউটারও অপ্রতুল। আমরা সেই সমস্ত সমস্যা নিয়েই কথা বলতে এসেছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, “মুখ্য স্বাস্থ্য আধিতকারিক তার আগে থেকেই কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন। তিনি নেশা করে অফিসে এসে এ সব করছেন।”
গোটা বিষয়টি নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যান অন্য কর্তারা। গোটা দফতরের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “অফিসের এমন পরিবেশ কাম্য নয়।” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস দাবি করেন, “পুরোটাই মিথ্যা। আমি অনৈতিক দাবি মানি না। তা ছাড়া, হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করায় ওরা আমাকে মানুষের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করতে মনগড়া কথা বলছে। নেশা করে অফিসে আসার প্রশ্নই আসে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy