Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ছুটির দিনেও অটুট ভোগান্তি

রবিবারেও খোলা ছিল ব্যাঙ্ক, ডাকঘর। কিন্তু পরিস্থিতির তেমন বদল হল না এ দিনও। দিনভর অপেক্ষার শেষে হাতে রইল পেনসিল। টাকা না পেয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেকেই।

রবিবারও ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন। করিমপুরে কল্লোল প্রামাণিকের তোলা ছবি।

রবিবারও ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন। করিমপুরে কল্লোল প্রামাণিকের তোলা ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১০
Share: Save:

রবিবারেও খোলা ছিল ব্যাঙ্ক, ডাকঘর। কিন্তু পরিস্থিতির তেমন বদল হল না এ দিনও। দিনভর অপেক্ষার শেষে হাতে রইল পেনসিল। টাকা না পেয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেকেই।

এ দিন নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের সামনে ছিল লম্বা লাইন। ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় ও ভোগান্তি দু’টোই বেশি ছিল।

কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকার কথা ছিল বিকেল চারটে পর্যন্ত। তারপরেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অনেকেই এসে ঢুকতে না পারায় ক্ষুব্ধ কয়েকজন গ্রাহক ব্যাঙ্কের সামনের দরজা বন্ধ করে দেন। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের বুঝিয়ে বললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বহরমপুর ও লাগোয়া এলাকার ব্যাঙ্ক ও এটিএম কাউন্টারের সামনে ছিল লম্বা লাইন। দৌলতাবাদ শাখার একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, সূর্যকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘অন্য দিনের তুলনায় রবিবার ভিড় প্রায় দ্বিগুণ ছিল। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় ব্যাঙ্কে টাকার পরিমাণ কম থাকায় সবাইকে বেশি টাকা দেওয়া যায়নি।’’

বহরমপুরের একটি ব্যাঙ্কে চার হাজার টাকা (সব পাঁচশো টাকার নোট) বদলানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তিনি অবশ্য নোট বদলাতে পেরেছেন। অধীরকে সামনে পেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই তাঁদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। অধীর বলছেন, ‘‘কালো টাকা ও জাল টাকার বিরুদ্ধে বহু আগে থেকেই কংগ্রেস লড়ছে। কিন্তু কোনও পরিকাঠামো ছাড়াই আচমকা কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হয়রান হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’

এ দিন ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের সামনের লাইনে দেখা গিয়েছে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের। তাঁরা বলছেন, ‘‘অন্য দিন বাবা-মা এসে লাইনে দাঁড়ান। ছুটির দিন থাকায় আজ আমরা এসেছি।’’ রানাঘাটের কলেজ পড়ুয়া সৌরভ বিশ্বাস বলেন, “বাবার বয়স হয়েছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বাবাকে পাশে এক জায়গায় বসিয়ে লাইনে আমি দাঁড়িয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

holiday Sunday Demonetization
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE