Advertisement
E-Paper

মুখ ফিরিয়েছে পুরসভা, রোজ জমছে জঞ্জাল

বকেয়া রয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স। আর সেই বকেয়া ট্যাক্স না মেটানোয় হাসপাতাল চত্বরে থাকা ভ্যাট পরিষ্কার করছে না পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৬ ০০:৪২
সদর হাসপাতালের সেই আবর্জনা। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

সদর হাসপাতালের সেই আবর্জনা। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

বকেয়া রয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স। আর সেই বকেয়া ট্যাক্স না মেটানোয় হাসপাতাল চত্বরে থাকা ভ্যাট পরিষ্কার করছে না পুরসভা। যার ফলে উপচে পড়ছে ভ্যাট। রাস্তায় জমছে জঞ্জাল। দুর্গন্ধে চলাফেরা দায় হয়ে পড়েছে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। সদর হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে হাসপাতালের কর্মী-চিকিৎসকদের আবাসন। দুর্গন্ধে নাকাল তাঁরাও।

হাসপাতালে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পরিষ্কার করা হোক এই আবর্জনা। সদর হাসপাতালের পাশাপাশি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের জঞ্জালও পরিষ্কার হচ্ছে না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের জঞ্জাল হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে কিছুটা দূরে খালের পাড়ে ফেলা হচ্ছে।

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের বায়োমেডিকেল জঞ্জাল একটি সংস্থা প্রতিদিন নিয়ে যায়। কিন্তু অন্যান্য জঞ্জাল হাসপাতালের পিছন গেটের কাছে একটি ভ্যাটে রাখা হয়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ওই সব জঞ্জাল এনে ভ্যাটে ফেলা হয়। কিন্তু গত দু-তিন মাস ধরে সেই জঞ্জাল পরিষ্কার হচ্ছে না। যার ফলে ভ্যাট উপচে হাসপাতালের পিছন গেটের রাস্তায় চলে আসছে। তার ওপরে ঘন ঘন বৃষ্টির ফলে ভ্যাটের জঞ্জাল থেকে নোংরা জল বেরিয়ে রাস্তায় এসে পড়ছে। আর সেই রাস্তা দিয়ে যাতয়াত করতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে অন্যান্যদের। তবে যাঁরা জানেন ভ্যাটের জঞ্জাল রাস্তার ওপরে এসে পড়েছে তাঁরা মেন গেট দিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকছেন। তবে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে কিছুটা দূরে সেই হাসপাতালে জঞ্জাল ফেলার ভ্যাট রয়েছে।

নবদ্বীপের ফাঁসিতলার বাসিন্দা প্রাণবল্লব হালদার ছেলে দেবুকে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। প্রাণবল্লভ বলেন, ‘‘যা অবস্থা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার না হলে সাধারণ মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়বে।’’ পটিয়ার প্রাণপিয়াসি মণ্ডল বলেন, ‘‘শীঘ্রই এই জঞ্জাল পরিষ্কার করা হোক।’’

কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান অসীমকুমার সাহা বলেন, “জেলা হাসপাতালের কাছ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পাবে পুরসভা। বার বার চিঠি দিয়ে সেই ট্যাক্স মেটানোর কথা বললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মেটাচ্ছে না। তাই জঞ্জাল পরিষ্কার বন্ধ রাখা হয়েছে।’’ তাঁর সাফ কথা, ‘‘বকেয়া ট্যাক্সের অর্ধেক পেলে তবেই জঞ্জাল পরিষ্কারে হাত লাগাবে পুরসভা।’’

যদিও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সুপার সুদীপ সরকারের দাবি, “বকেয়া ট্যাক্স মেটানোর জন্য পুরসভা চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু এত পরিমাণ ট্যাক্স কীভাবে বকেয়া রয়েছে তার ব্যাখা চেয়েছি। তা ছাড়াও বকেয়া ট্যাক্সের জন্য জঞ্জাল পরিষ্কার বন্ধ-এমন কথা পুরসভা আমাদের জানায়নি। আমরা শীঘ্রই এ বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলব।’’

TAX municipality hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy