চাকদহের গ্রামে পেঁয়াজ বিক্রি। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।
পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাষিদের বাড়িতে এক শ্রেণির ফড়েদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে।
চাষিরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর সময় স্থানীয় পেঁয়াজ ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দিন দশেকের ব্যবধানে তা কোথাও দ্বিগুণ, আবার কোথাও তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ময়দানে নেমে পড়েছে ফড়েরা। তারা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাষিদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে এবং কম দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি মুনাফায় বিক্রি করছে। এতে চাষি এবং সাধারণ ক্রেতা, উভয় তরফই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চাকদহ ব্লক ও তার আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কম-বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়। গত এপ্রিলে ওঠা পেঁয়াজ চাষিরা ঝুঁটি বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। অনেকেই পুজোর বেশ আগে থেকেই সেই সংরক্ষণ করে রাখা পেঁয়াজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। প্রথম দিকে যাঁরা বিক্রি করেছেন, তাঁরা সে ভাবে দাম পাননি। মাত্র কয়েক দিনে দাম চড়চড় করে বেড়েছে। চাষিরা জানান, এই পেঁয়াজ বেশি দিন রাখা যায় না। শীত পড়লে গাছ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্য রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজে এই সমস্যা হয় না।
চাকদহ ব্লকের চান্দুরিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মলিচাগড়ের বাসিন্দা সাত্তার মণ্ডল বলেন, “ঘরে এক কুইণ্টালের বেশি পেঁয়াজ ছিল। দিন দশেক আগে প্রতি কেজি ২৭-২৮ টাকা দরে বিক্রি করেছি। সেই সময় বুঝতে পারিনি, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এত দাম বাড়বে। এখন তো ৬৫-৭০ টাকা কেজি, কোথাও ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।” তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ফড়েরা বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। যে সব এলাকায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেই সব জায়গাতেই তাদের বেশি দেখা যাচ্ছে।” আর এক চাষি জানান, ফড়েরা খুব বেশি হলে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বাজারে প্রচুর বেশি দামে বিক্রি করছে। সংরক্ষণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় ফড়েদের খপ্পরে পড়তে অনিচ্ছুক চাষিরা অনেকে সরাসরি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy