ফাইল চিত্র।
দলেরই কিছু নেতা ও প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে তোলাবাজি চালানোর অভিযোগ নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন ফরাক্কার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সহ একাধিক নেতা।
তাঁদের অভিযোগ, দলনেত্রী বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট তৈরি করে ফরাক্কায় এনটিপিসির ছাই নিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূলেরই কিছু পদস্থ নেতা। মাসে দেড় কোটি টাকারও বেশি তোলা আদায় করছে তারা। প্রশাসন ও জেলা তৃণমূল নেতাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনও ফল না হওয়ায় বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনতে চাইছেন তাঁরা।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এজারত আলি বলেন, “এনটিপিসির দু’টি ছাই গাদা রয়েছে ফরাক্কায়। সেখান থেকে গর্ত ভরাট, রাস্তা তৈরি সহ নানা কাজে সেই ছাই ট্রাকে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এনটিপিসি এর জন্য কোনও পয়সা নেয় না। যে কেউ এখান থেকে ট্রাক করে ছাই নিয়ে যেতে পারেন। সেই ছাই ট্রাকে লোড করার জন্য মেসিনের ভাড়া বাবদ খরচ মাত্র ৬০০ টাকা। কিন্তু তৃণমূলের দুই নেতা স্থানীয় মস্তানকে দিয়ে পুরোপুরি ছাই গাদার দখল নিয়েছেন। ট্রাক প্রতি তারা আদায় করছে ১৭০০ টাকা করে। ৬০০ টাকা মেসিন মালিককে দিয়ে বাকি ১১০০ টাকা ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে দলের দুই নেতা ও প্রশাসনের কিছু কর্তা ও কিছু পুলিশের মধ্যে। প্রতিদিন ৪০০টি ট্রাক ছাই বহনের কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে আদায় হচ্ছে প্রতিদিন ৭ লক্ষ টাকা করে। তার আড়াই লক্ষ টাকা পাচ্ছে পে লোডার মেসিন মালিক। বাকি সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে দৈনিক তোলা বাবদ। মাসে প্রায় দেড় থেকে দু কোটি টাকা।”
দলের সংখ্যালঘু শাখার ব্লক সহ সভাপতি নয়নতারা খাতুন বলেন, “দলের নেতাদের নাম সহ লিখিত অভিযোগ জেলা শাসকের কাছে পাঠানো হয়। জেলা শাসক সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফরাক্কা থানায় পাঠিয়েছেন বলে আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছি।”
তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক সভাপতি খলিলুর রহমান বলছেন, “তোলাবাজি কেউ করলে পুলিশ ও প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে। দলের কোনও নেতার প্রশ্রয়ে সেখানে তোলাবাজি চলছে এ অভিযোগ ঠিক নয়। যদি তা হয়ে থাকে দলের কোনও নেতা বা কর্মী তা নিয়ে দলনেত্রীকে অভিযোগ জানাতেই পারেন। তিনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।” পুলিশ অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy