চার মাস আগের ঘটনা। সেই ঘটনাতে অনেক দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে ৪০ জন। আচমকা আরও দু’জন গ্রেফতার হওয়ায় ফরাক্কায় শুরু হল চাপান উতোর।
গত অগস্টে ফরাক্কার জিগরি মোড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকার হাজার খানেক বাসিন্দার। অবরোধ তুলতে এলে জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্রামবাসী এক যুবকের। পাল্টা আক্রমণে জখম হন ফরাক্কার আইসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। যুবক খুনের মামলার পাশাপাশি পুলিশকে আক্রমণেরও মামলাও শুরু হয়েছিল। সেই মামলায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সকলেই জামিন পান। সেই মামলাতে শনিবার রাতে ফের গ্রেফতার করা হল স্থানীয় মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান জসমিন খাতুনের স্বামী মিস্তারুল শেখ এবং উপপ্রধান শাজাহান আলিকে। মিস্তারুল একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও।
প্রশ্ন উঠছে, একই ঘটনায় আগে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মতো এতদিন এলাকাতেই ছিলেন মিস্তারুল এবং শাজাহানও। মিস্তারুল তো থানারই ডিউটি করতেন। কিন্তু, পুলিশ গত চার মাসে কেন তাঁদের গ্রেফতার করল না?
তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য মহম্মদ মোস্তাফার অভিযোগ, “ফরাক্কার ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এক মাত্র মহেশপুর পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের। ফরাক্কার তৃণমূলের নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়ে মিথ্যে মামলায় পুলিশকে দিয়ে তাঁদের ধরিয়েছেন।” মোস্তাফা গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন ফরাক্কায়। হেরে যান কংগ্রেসের কাছে। দলের ব্লক পর্যবেক্ষকের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিকে, ধৃতদের পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের-সহ সভাপতি সোমেন পান্ডে। তাঁর প্রশ্ন, “ওই উপ-প্রধান তৃণমূল করে নাকি ? তাদের তো চিনি না। পুলিশ যখন ধরেছে তখন নিশ্চয় কোনও প্রমাণ আছে।’’ ফরাক্কা থানার আইসি সমীররঞ্জন লালার জবাব, ‘‘ঘটনায় জড়়িত ছিল বলেই ওদের
ধরা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy