মুর্শিদাবাদের কান্দির হিজলে নতুনগ্রাম সমবায় সমিতির নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না কোনও দলই। এত দিন নিজেদের দখলে থাকা ওই সমবায়ে ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনেই আটকে গেল তৃণমূল। ৩টি আসনে জেতেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্য দিকে, নির্দল প্রার্থীরা জেতেন ১১টি আসনে। এমন ফলের পিছনে গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করছেন জেলায় শাসকদলের একাংশ। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা যাবে।
রবিবার হিজল হাই স্কুলে ভোটগ্রহণ হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি শাসকদল। তৃণমূল সূত্রে দাবি, দলের তিনটি বিবাদমান গোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে প্রার্থিতালিকা তৈরি করেছে। যাঁদের নাম প্রার্থিতালিকায় ছিল না, তাঁদের বেশির ভাগই নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কান্দি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বকবুল হোসেন বলেন, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে ভোটাররা মত প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল নিরঙ্কুশ ভাবেই জিতেছেন। যাঁরা অভিমান করে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।’’
ভোটের ফল প্রসঙ্গে কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের শফিউল আলম খান বলেন, ‘‘আজ নির্বাচনে পুলিশ যে ভূমিকায় ছিল, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ যদি সেই ভূমিকায় থাকে, তা হলে মানুষ তার অধিকার বুঝিয়ে দেবে। সমিতির নির্বাচনের ফলে আমরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy