ওবাইদুর রহমান।
সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে!
কখনও থানায় ঢুকে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া, কখনও স্মারকলিপি দিতে গিয়ে পুলিশ হেনস্থার সেই দীর্ঘ তালিকায় এ বার জুড়ে গেল সুতি থানার নামও।
তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশ অবশ্য শাসকদল বলে রেয়াত করেনি। পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল নেতা ওবাইদুর রহমানকে শনিবার ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অরঙ্গাবাদের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওবাইদুর এক সময় সুতি ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন।
রবিবার ওবাইদুরকে জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবার সুতি থানার পুলিশের কাছে কেস ডায়েরি তলব করে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওবাইদুর রহমানকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ অরঙ্গাবাদে সুতি থানা চত্বরের মধ্যেই একটি গ্রাম্য বিবাদের ঘটনায় দু’পক্ষকে নিয়ে সালিশি করছিলেন ওবাইদুর। সুতির ওসি সন্দীপ সেন তাঁকে থানা চত্বরে সালিশি করতে নিষেধ করেন।
অভিযোগ, তখনই ওসি সন্দীপ সেনের সঙ্গে বচসা ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন ওবাইদুর। থানা থেকে বেরিয়ে আসেন কর্তব্যরত একাধিক পুলিশ আধিকারিক ও কনস্টেবল। ছুটে আসেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরাও। ওবাইদুরকে ধরে থানার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দান-সহ একাধিক অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সুতির ওসি সন্দীপ সেন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুতি থানার ওসিকে থানা চত্বরে যে ভাবে হেনস্থা করেছেন ওবাইদুর রহমান তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
ওবাইদুর অবশ্য আদালতে আসার পথে সংবাদমাধ্যমের কাছে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “পুলিশ মিথ্যে মামলা সাজিয়ে আমাকে গ্রেফতার করেছে।”
তবে এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইমানি বিশ্বাস বলেন, “ওবাইদুর এক সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি থাকলেও এখন দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে প্রচারও করেছেন তিনি।”
অরঙ্গাবাদের সুতি ২ ব্লকের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম বলেন, “ওবাইদুর তৃণমূলের নেতা। এখনও তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। আমার সঙ্গে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে যে হেনস্থার অভিযোগ এনেছে তার সত্যতা নেই। ওবাইদুর থানা চত্বরে গেলে ওসি তাঁকে চলে যেতে বলেন। ওসির সঙ্গে তর্কাতর্কি ও সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। এর বেশি
কিছু ঘটেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy