শুক্রবারই বহরমপুর থেকে গ্রেফতার হন মোট তিন জন। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। —প্রতীকী চিত্র।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক তৃণমূল নেতাও। শনিবার ধৃত ৩ জনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের গোঠা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে জাল নথি ব্যবহার করে ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই মামলা তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক। তাঁর ছেলে অবশ্য পলাতক। শুক্রবার ওই মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (অবসরপ্রাপ্ত) পূরবী দে বিশ্বাস। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনস্থ দুই কর্মচারী নিত্যগোপাল মাঝি এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অঞ্জনা মজুমদারকেও। পাশাপাশি, দুই শিক্ষা আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাস এবং সুনীল বর্মণকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিক্ষা দফতরে কাজ করার পাশাপাশি, নিত্যগোপাল বহরমপুর হরিদাস মাটি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতিও। শনিবার নিত্যগোপালের জেল হেফাজতের নির্দেশ নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, ‘‘দুর্নীতি প্রশ্নে দল ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বকেই রেয়াত করা হয়নি। সেখানে স্থানীয় নেতাকে তো রেয়াতের প্রশ্নই ওঠে না।’’ এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা দুর্নীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। যত তদন্ত হবে ততই আরও দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে।’’
অন্য দিকে, গ্রেফতারির পর অভিযুক্ত প্রাক্তন ডিআই পূরবী বলেন, ‘‘অনেক কিছু বলার আছে আমার। সময় মতো ঠিক বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy