পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলেরই সদস্যরা। তাঁদের দাবি, পুলিশের কাছে গিয়েও মিলছে না কোনওরকম সাহায্য। তাই পঞ্চায়েত সদস্য পদও ছেড়ে দিতে চান ফরাক্কার বেওয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সাত সদস্য। ওই পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্য রিন্টু শেখ বলছেন, ‘‘পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ফরাক্কায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগের কপি দেওয়া হয় পুলিশকেও। এরপর অবশ্য কিছুটা ততপর হয় ফরাক্কা থানা।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তারা পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।
ফরাক্কা ব্লকের এই বেওয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ তৃণমূল সদস্যের মধ্যে ৫ জনই মহিলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের সদস্য হয়েও তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছেন না গত ১৫ দিন ধরে। অভিযোগ, তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে অফিসে যাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই অবস্থায় তারা ৭ জনই সদস্য পদ থেকে গণ ইস্তফা দিতে চান।
ফরাক্কার ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির ৪ জন ও কংগ্রেসের ৪ জন সদস্য মিলে ৮ জনের গড়া বোর্ডের প্রধান হয়েছেন বিজেপির কুণাল ঘোষ। বাকি ৭ সদস্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। স্বভাবতই ৮-৭ ব্যবধানে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল বিরোধীরা বোর্ড গঠন করেন।