তৃণমূল বনাম তৃণমূল!
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে সরানোকে কেন্দ্র করে ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল তৃণমূলের অর্ন্তকলহ।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে ছিলেন এক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক। আগামী মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই পদে যাঁকে বসানো
হয়েছে, তিনি তৃণমূলের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন, ওয়াবকুপার পরিচিত নেতা।
কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত যৌথ মঞ্চ উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার মঞ্চের পক্ষ থেকে নতুন রেজিস্ট্রারকে সরানোর জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। না হলে, ‘চরম’ আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
আগে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নির্দেশ জারি করে সেই পদে বসানো হয় অ্যাগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক শুভেন্দুবিকাশ গোস্বামীকে। এ দিনই দায়িত্ব হাতবদল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন (স্ট্যাটুট) অনুযায়ী এতে তেমন কোনও বেনিয়ম হয়নি। কারণ, এই পদে ছ’মাস কাজের পরে উপাচার্য মনে করলে অস্থায়ী রেজিস্ট্রারকে সরাতে পারেন। তা হলে আন্দোলন কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-ছাত্র-শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে একটি মঞ্চ রয়েছে। তা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত। সেই মঞ্চের বক্তব্য, রেজিস্ট্রার পদটি আধিকারিকারিকের। ফলে সেই পদে শিক্ষকদের নয়, বসাতে হবে আধিকারিকদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অন্তত চার জন আধিকারিক রয়েছেন, যাঁদের রেজিস্ট্রার পদে বসার যোগ্যতা রয়েছে। এ দিন মঞ্চের পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের সঙ্গে দেখা করেন।
মঞ্চের মুখপাত্র শুভদীপ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা উপাচার্যকে সাত দিন সময় দিয়েছি। তার মধ্যে তিনি নবনিযুক্ত উপাচার্যকে সরিয়ে দিন। তা না হলে আমাদের আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে হবে।’’ মঞ্চের এক নেতা অবশ্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উপাচার্য শুভেন্দুবাবুকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে না সরালে তাঁকে নিজের দফতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy