—প্রতীকী চিত্র।
সারা দিনের কাজ সেরে নিজের মুরগির খামারে বসে ছিলেন তৃণমূল কর্মী। মাঝরাতে আচমকা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন এক জন লোক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ মুর্শিদাবাদের সুতিতে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খামারেই লুটিয়ে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম প্রবীর দাস। ৫২ বছর বয়সি প্রবীর প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্ত। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার জগতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যার স্বামী প্রবীর তাঁর মুরগির খামারে বসে ছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ এক জন তাঁর খামারে এসে উপস্থিত হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুব কাছ থেকে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পর পর তিন রাউন্ড গুলি করা হয়। একটি গুলি প্রবীরের মাথার নীচের অংশ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আততায়ীও সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যান। গুলির শব্দে আশপাশের মানুষেরা বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় প্রবীরকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সুতি থানার মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে প্রবীরের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফরাক্কার এসডিপিও রাসপ্রীত সিংহ। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুনের নেপথ্যে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক শত্রুতা না কি রাজনৈতিক রোষ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতের ভাই সুশান্ত দাস অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর দাদার সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূল করত দাদা। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করুক।’’
অন্য দিকে, ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাসপ্রীত সিংহ বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy