E-Paper

ভোট লুঠের চেষ্টা রুখবেন পুরনো তৃণমূল কর্মীরাই

গা থেকে এখনও তৃণমূলের গন্ধ যায়নি ইয়াদুল ও গোলাম নবির। দলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়েও এ দিন কিছুটা আবেগাপ্লুতও হয়ে পড়েন তাঁরা।ক্ষোভের চেয়ে বেশি ছিল অভিমানই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:২০
An image of TMC flag

—প্রতীকী চিত্র।

ভোট লুঠের চেষ্টা হলে হারোয়ায় গণ প্রতিরোধ করে তা রুখবেন পুরনো তৃণমূল কর্মীরাই। দলের টিকিট না পেয়ে তাঁরা অনেকেই এ বার প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের।

ভোটের আগে বিশাল মিছিল করে ঘুরলেন তাঁরা সুতির হারোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। সদ্য তৃণমূলত্যাগী দুই নেতা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক গোলাম নবি আজাদ ও বিদায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলনেতা ইয়াদুল শেখের নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল শেষে দুই নেতাই এদিন জানিয়ে দিলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক আর না থাকুক পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠের চেষ্টা যে কোনও মূল্যে রুখবে হারোয়া। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভুলেও যেন হারোয়ার কোনও বুথে ভোট দানে মানুষকে বাধার সৃষ্টি না করেন। যদি তা করেন তার ফলাফলের জন্য দায়ী হবেন সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও তার দলবল।” তির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস বলেন, “যাঁরা এ সব অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা তার একটাও প্রমাণ করতে পারবেন না।’’

গা থেকে এখনও তৃণমূলের গন্ধ যায়নি ইয়াদুল ও গোলাম নবির। দলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়েও এ দিন কিছুটা আবেগাপ্লুতও হয়ে পড়েন তাঁরা।ক্ষোভের চেয়ে বেশি ছিল অভিমানই। গোলাম নবির ক্ষোভ, ‘‘দলের এক সভাপতির ছেলে টেন্ডারে ৫ কোটি টাকার কাজ করেছে। তথ্য সহ অভিযোগ দিয়ে এসেছি নেতৃত্বকে। আমি নিজে রাজ্য নেতৃত্বকে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে এসেছি।’’ গোলাম নবির দাবি, ‘‘টাকা নিয়ে যাঁরা দলের প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। হারোয়ার মানুষ এ বার তার জবাব দেবেন।’’ তিনি বলেন, “২০১৮ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে তৃণমূল একটা বোর্ড গড়েছিল হারোয়ায়, সেখানে অবশ্য আমরাও ছিলাম। কিন্তু দলের উন্নয়নের কথা বলে নেতারা কাটমানি খেয়েছেন, কোনও কাজ করতে গেলে ৫ শতাংশ নেতাদের দিতে হয়েছে,মিছিল মিটিংয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে। এক প্রধানকে সরিয়ে আর এক জনকে প্রধান করা হয়েছে। সেই প্রধানকেও দেড় বছর কাজ করতে দেওয়া হয়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে যাঁরা দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন আজ তাঁদের নিয়ে সেই দলীয় বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস আমাদের মতো পুরনো দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।সিপিএম, কংগ্রেস নয়,আমাদের লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।আর বিধায়ককে বলছি আপনি ২০১৮ সালের মতো যে খেলা শুরু করবেন ভাবছেন, তার জন্য হারোয়া অঞ্চল যদি রক্তাক্ত হয়,হারোয়া অঞ্চলের কোনও ক্ষতি হয় এরজন্য দায়ী থাকবেন আপনিই।”

সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস বলেন, “এটুকু বলতে পারি ভোট হবে শান্তিতে। সবাই যে যার ইচ্ছে মতো ভোট দিতে পারবেন।”

ইয়াদুলের অভিযোগ, “যাঁরা টাকা দিয়ে তৃণমূলের টিকিট নিয়েছেন, তাঁদের মানুষের কাছে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তৃণমূল যদি মনে করে বুথ দখল করব, হারোয়ার জনগণ তা রুখে দেবেন। হারোয়ার লোক চান একটি পরিচ্ছন্ন পঞ্চায়েত। কাটমানি পঞ্চায়েত আর সামনে দিনে আমরা চাই না। এমন পঞ্চায়েত চাই যেখানে কাটমানি দিয়ে পরিষেবা নিতে হবে না মানুষকে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Panchayat Election 2023 TMC workers

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy