সীমান্তে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা নতুন নয়। গবাদি পশু কিংবা জাল নোট পাচার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে শীতকাল পড়লে পাচারের ঘটনা সাধারণত বাড়ে। রানিনগর সীমান্ত এলাকায় শীত পড়তে না পড়তেই ফের বেড়েছে পাচারের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং বিএসএফ। তাদের একটি পিকআপ ভ্যানও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শনিবার রাত ২টো নাগাদ রানিনগর থানার পুলিশ পাচারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা ডোমকলের বাসিন্দা বলে খবর। ওই দু’জন দুষ্কৃতী ছাড়াও ছ’টি গরু এবং দু’টি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। রানিনগরের ঝাউবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের ধরা হয় বলে জানিয়েছে রানিনগর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম আলামিন মণ্ডল ও ফকরুল আলম। তারা ডোমকলের জোড়গাছা ও সাকালিপাড়ার বাসিন্দা। রানিনগর পুলিশ সূত্রে খবর, শীত আসতেই রাতের দিকে সক্রিয় হয়ে উঠছে পাচারকারীরা। গত কয়েকদিন ধরে রাতের দিকে কুয়াশা পড়ছে। সেই সুযোগেই তারা গবাদি পশু পাচারে নেমে পড়েছে।
শনিবার রাত ২টো নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঝাউবাড়িয়া সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের মধঅযএ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে রানিনগরের কাহারপাড়া বিএসএফের সঙ্গে একদল কৃষকের ঝামেলা হয়েছিল। বিএসএফের দাবি, কুয়াশার আড়ালে অনেকে জাল নোট এবং গবাদি পশু পাচার করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর ফল ভুগতে হয় নিরীহ গ্রামবাসীদের। কাহারপাড়া সীমান্তের বাসিন্দা তন্ময় মণ্ডল বললেন ‘‘সীমান্ত এলাকায় শতকরা নব্বই জন মানুষেরই ফসলি জমি রয়েছে সীমান্ত এলাকায়। আমরা সেখানে যেতে গিয়ে
বাধা পাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীত পড়লে পাচার বাড়ে। তাই এ সময় নজরদারি আরও কড়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy