E-Paper

মন্দিরের পুকুরের মাছ দিয়েই পুজোর ভোগ

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পুজোর প্রথম দিন সূর্য উদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেবীর ঘট স্থাপন করতে হয়। ঘটস্থাপনের মধ্যে প্রথমেই পকান্নভোগের আয়োজন করতে হয়।

নিজস্ব সংবাদদতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৪৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাছের রকমারি পদ থেকে এঁচরের তরকারি, গাওয়া ঘিয়ের লুচি থেকে রকমারি ভাজার আয়োজন করতে হয়। সঙ্গে রকমারি পায়েস থেকে চাটনি সব মিলিয়ে রকমারি পদের ভোগ দিয়েই কান্দির বহড়া ত্রিবেদী পরিবারের সদস্যরা দেবী দুর্গার আরধনায় মেতে থাকেন। কিন্তু ওই পুজো ঠিক কত বছর বয়স সেটা নিয়ে সঠিক তথ্য নেই পরিবারের বর্তমানে সদস্যদের। কিন্তু ওই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মনমোহন ত্রিবেদী। ওই পুজোর প্রতিষ্ঠাকালীন নিয়মের বিন্দু মাত্র পরিবর্তন হয়নি বলেও দাবি ওই পরিবারের বর্তমান সদস্যদের। ওই পরিবারের অন্যতম প্রবীণ সদস্য দীপেন্দ্র মোহন ত্রিবেদী বলেন, “পুজোর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত যে নিয়মে মায়ের পুজো হয় তার পরিবর্তন হয়নি।”

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পুজোর প্রথম দিন সূর্য উদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেবীর ঘট স্থাপন করতে হয়। ঘটস্থাপনের মধ্যে প্রথমেই পকান্নভোগের আয়োজন করতে হয়। ওই ভোগের মধ্যে থাকে গাওয়া ঘিয়ে ভাজা লুচি, নয় রকমের ভাজা, সুজির পায়েস ও সঙ্গে নয় রকমের ফল ও রকমারি মিষ্টি। সকালের ভোগ দেওয়ার পর এবার দুপুরের ভোগের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রথম দিনের মূল পুজো। সেখানে ভোগের মধ্যে রাখতে হয় নয় রকমের ফল ও সঙ্গে মিষ্টি, গোবিন্দভোগ আতব চালের ভাত, নয় রকমের ভাজা, পাঁচ ধরনের তরকারি সঙ্গে এঁচরের তরকারি লাগবেই, ও মন্দিরের সামনের পুকুর থেকে ধরা মাছ ভাজা, মাছের ঝোলও দিতে হয় ওই মায়ের ভোগে। শেষ পাতে জলপাইয়ের চাটনি ও পায়েস। ভোগ দেওয়ার পর ফের সন্ধ্যায় সন্ধারতি দেওয়ার সময় ফের ভোগের আয়োজন করতে হয়। সেই সময়েও নয় রকমের ভাজা, গাওয়া ঘিয়ে ভাজা লুচি, পায়েস ও মিষ্টির দিয়ে সন্ধ্যারতি দিয়ে মাকে শয়ন দেওয়া হয়। ওই ভাবেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ভোগের আয়োজন করতে হয় বলেও দাবি পরিবারের সদস্যদের।

পরিবারের প্রবীণ গিন্নীদের দাবি মায়ের মহাঅষ্টমীর সন্ধি পুজোতে তালের বড়া লাগবেই। সঙ্গে মাছ ভাজা আর মাছের ঝোল ছাড়া ভোগই হয় না মায়ের। পারিবারিক ওই পুজোর মায়ের ভোগের মাছ যে পুকুর থেকে নেওয়া হয় ওই পুকুরটি মন্দিরের পাশেই। এবং যেহেতু ওই পুকুরের মাছ দিয়ে মায়ের ভোগ দেওয়া হয় তাই ওই পুকুরের নাম ‘ভোগ পুকুর’। ওই পুকুরের মাছ দিয়ে পুজো ক’দিন মাছের ব্যবস্থা হয় বলে ত্রিবেদী পরিবারের। নবমীর দিন মধ্যাহ্নে ভোগের কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। মাছভাজা ও মাছের ঝোল সব কিছুই থাকলেও পান্তা ভাত দিতে হয় ভোগে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kandi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy