—নিজস্ব চিত্র।
এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তির নাম অরূপ ঘোষ(৩৬)। তাঁর বাড়ি তেহট্ট বর্গিডাঙা পাড়ায়। তিনি তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী ছিলেন।
ওই যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরে শারীরিক সমস্যা থাকায় শনিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে তাঁকে শক্তিনগর স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। শক্তিনগর হাসপাতালে যায়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ফের তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। এর পরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার সহ আত্মীয়-স্বজনেরা।
পরিবারের দাবি, অরূপকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁর মৃত্যুর পর ফের পরীক্ষা করার দাবি তোলেন পরিবারের লোকেরা। তখন রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তত ক্ষণে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে চলে আসেন অনেকেই। রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই ওই পরিবারের অধিকাংশ মানুষের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা, কমলো দৈনিক সংক্রমণও
এই ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা শুরু হয়। পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি হালদার বলেন, “হাসপাতালে গাফিলতির জন্য আমাদের পঞ্চায়েত কর্মীর মৃত্যু হল। সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয়নি অরূপের। এ কথা জানাতে গেলেও আমাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট খারাপ আচরণ করেন।” পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চায়না মন্ডল খান বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ থাকার কারণেই পরিবারের সদস্যরা মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন। তারপরে আবার পরীক্ষা করানো হলে পজিটিভ আসে। বিষয়টি জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা যাই। তখন ইমারজেন্সি বিভাগে থাকা নার্সরা আমাদের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।”
আরও পড়ুন: টাকার লোভে স্ত্রীকে বিক্রির অভিযোগ, শান্তিপুরে আটক যুবক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy