বহরমপুরের বাজারে মাছ নাগালের মধ্যে। নিজস্ব চিত্র।
পরপর দু'দিন লকডাউন। বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম দোকানপাট। ফলে বুধবার কিছুটা হলেও বাড়তি আনাজ সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ঘরে রাখতে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। ফলে বুধবার সকাল থেকেই হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল, লালবাগ সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে ভিড় ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। জেলার সদর শহর বহরমপুরের স্বর্ণময়ী বাজার, নতুন বাজারের মতো আনাজ, মাছের বাজারেও ছিল ভিড়। মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান সর্বত্রই ভিড় ছিল তুলনামূলক ভাবে বেশি। এদিন সকাল হতেই থলে হাতে বাজারে বেরিয়ে ছিলেন অনেকেই। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থের বাসিন্দা অসীম সাহা বলেন, ‘‘পরপর দু'দিন লকডাউন। ভেবেছিলাম বাজারে সব অগ্নিমূল্য হবে। কিন্তু তা হয়নি। যা যা কেনার, কিনতে পেরেছি।’’
আনাজের চাহিদা বেশি থাকলেও এদিন দাম খুব একটা বাড়েনি বলেই দাবি বিক্রেতাদেরও। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন পরপর দু'দিন লকডাউন হওয়ার ফলে বিভিন্ন হাটে আনাজের পাইকাররা এদিন আসেননি। কিন্তু খেতের আনাজ তুলে বিক্রি না করলে তা দুদিনে পেকে উঠবে। ফলে চাষিরা আনাজ তুলে বিভিন্ন বাজারে খুচরো বিক্রেতাদের কাছেই বিক্রি করেছেন।
হরিহরপাড়ার আনাজ বিক্রেতা সোনারুদ্দিন খাঁন বলেন, ‘‘লকডাউনের কারণে আনাজের চাহিদা হবে জেনেই বাড়তি আনাজ কিনেছিলাম। হাটে পাইকাররা না আসায় চাষিদের কাজ থেকেই আনাজ কিনেছি। ফলে কম দামেই সব ধরনের আনাজ বিক্রি করতে পারছি।’’
এদিন মাছের দামও ছিল তুলনামূলক ভাবে কম ছিল। আমদানি করা বিভিন্ন ধরনের মাছ অবিক্রীত থাকলে ব্যবসায়ীরা সাধারণত বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখেন। তবে টানা দু'দিন লকডাউনের কারনে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা কম দামেই এদিন মাছ বিক্রি হয়েছে। রুই, কাতলা বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকা কেজি, বাটা, চারা পোনা বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকায়। আনাজ, মাছের দাম নাগালে থাকায় স্বভাবতই খুশি ক্রেতারাও। হরিহরপাড়া বাসিন্দা সন্দীপ রানু বলেন, ‘‘বাজারে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় ছিল। চাহিদাও ছিল বেশি। কিন্তু আনাজ, মাছের দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy