Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তা দেখে গ্রামে ঢোকেন না হকারও

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুতির বংশবাটি পঞ্চায়েতের প্রধান খুকি রাজবংশী। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার নানা বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন বিমান হাজরা। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুতির বংশবাটি পঞ্চায়েতের প্রধান খুকি রাজবংশী। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার নানা বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন বিমান হাজরা। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।

নিয়মিত পরিস্কার করা হয় না নিকাশি নালা। ডান দিকে, এমনই বেহাল রাস্তা। — নিজস্ব চিত্র

নিয়মিত পরিস্কার করা হয় না নিকাশি নালা। ডান দিকে, এমনই বেহাল রাস্তা। — নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৪
Share: Save:

নিচেপাড়ায় নলকূপের পাশেই পাইপ লাইনের জল। কিন্তু নিকাশি নালা না থাকায় জমে থাকা জলে আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মশার উপদ্রবে বাড়িতে থাকা যায় না। নর্দমা পরিস্কারে ব্যবস্থা নিক পঞ্চায়েত।

ফুলটুসি মাঝি, নিচেপাড়া

সমস্যার কথাটি মানছি। ওই এলাকার রাস্তা সংলগ্ন জমিটি ব্যক্তিগত। তা ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে নিয়মিত নিকাশি নালা সংস্কার করা সম্ভব নয়।

এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের শ্রম দিয়ে গ্রামের নিচেপাড়ার রাস্তাটি মাটি ফেলে তৈরি করেছে। কিন্তু বর্ষায় কাদা ভেঙে যাওয়া যায় না। মোরাম করা দরকার।

প্রণব মাঝি, বংশবাটি

রাস্তাটি গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক জন গ্রামবাসীর দেওয়া জমিতে। তার উপর পঞ্চায়েত কোনও কাজ করতে পারে না। তাঁরা যদি রাস্তাটি পঞ্চায়েতকে লিখে দেয় তখন ভেবে দেখা হবে।

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বংশবাটি পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল। ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তাটি সারানোর ব্যাপারে কারও কোনও হেলদোল দেখি না।

কীর্তিবাস রাজবংশী, বংশবাটি

রাস্তাটি কেন্দ্রীয় সরকারের সীমান্ত উন্নয়ন তহবিলের টাকায় নির্মীত। রাস্তার উপর সেতুগুলি এখনও অসম্পূর্ণ। খুব তাড়াতাড়ি ওই রাস্তাটি সারানো হবে। টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে।

এলাকার একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হিলোড়ায়। আগে অন্তর্বিভাগ চালু ছিল। এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা থাকে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য। চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। তবু প্রসূতিদের প্রসবের কোনও ব্যবস্থা নেই। ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হোক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

আসাদুল শেখ, হিলোড়া

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ১০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালু হলে এলাকার মানুষের খুব উপকার হয়। বিশেষ করে প্রসূতিদের। সেটি যাতে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে তার দাবি জানিয়েছি।

আলোয়ানি গ্রামের যোগাযোগের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। বর্ষায় গ্রাম থেকে বেরোতে পারি না। বেহাল রাস্তাদে দেখে চিকিৎসক, মায় হকারও পর্যন্ত আসতে চান না।

চিন্ময় সরকার, আলোয়ানি

ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সীমান্ত উন্নয়ন তহবিল থেকে রাস্তাটি তৈরির কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে।

চোলাই মদের রমরমায় গ্রামে থাকা যায় না। মদ খেয়ে বেশ কয়েকজন মারাও গেছেন। গ্রামের মেয়েরা কয়েক বার ভাটি ভেঙে দিয়েছে। পঞ্চায়েত নিয়মিত নজর দিলে এগুলো কমে।

মালতি দাস, আলোয়ানি

মদ আপাতত গ্রামে বন্ধ আছে। এ বার থেকে নজর রাখা হবে। তবে সবার আগে গ্রামের মানুষকে সচেতন হতে হবে।

বংশবাটি এলাকায় একটাই ব্যাঙ্ক। তাও গ্রামীণ শাখা বলে দরকারে টাকা মেলে না। আরও ব্যাঙ্ক হলে ভাল হয়।

গঙ্গা হালদার, আলোয়ানি

গ্রামে আরও ব্যাঙ্ক দরকার। নোট বাতিলের ঘটনায় বোঝা গিয়েছে ব্যাঙ্কের প্রয়োজন কতটা। পঞ্চায়েত থেকে প্রস্তাব পাঠানো যায় কিনা সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখব।

গ্রামের পাশ দিয়ে রাস্তা গিয়েছে। কিনেতু তা চলাচলের অযোগ্য। রোজ দুর্ঘটনায় ঘটছে। সেতু তৈরি না হওয়ায় বর্ষায় নৌকো ছাড়া চলা যায় না।

লালন মণ্ডল, নজিরপুর

রাস্তাটি বংশবাটির প্রবেশ দ্বার। খুবই বেহাল দশা। সীমান্ত উন্নয়ন তহবিলে এই রাস্তা সংস্কারে টেন্ডার করা হয়েছে।

রাতুরি গ্রামে কোনও রাস্তা নেই। তাই দুর্দশার শেষ নেই। লাগোয়া বীরভূমের জাজিগ্রাম ও পাইকর থেকেই সব কাজ সারতে হয়।

তাঞ্জিল শেখ, রাতুরি

বংশবাটির সঙ্গে রাতুরি যাতায়াতের বেহাল রাস্তাটিও সংস্কার হবে খুব শীঘ্রই। সেটারও টেন্ডার ডাকা হয়েছে।

নাজিরপুর ঢোকার একমাত্র মোরাম রাস্তাটি আর ব্যবহারের মতো নেই। খানাখন্দে ভরা। রাস্তা সারাতে নজর দিক পঞ্চায়েত।

দুর্যোধন মণ্ডল, নাজিরপুর

রাস্তাটি সারানোর জন্য বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাকির হোসেনকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Facing Trouble Poor Roads Poor Drainage Suti
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE