Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Madrasa Exam

মাদ্রাসাতেও পাশের হার কমল, উদ্বেগ

বহরমপুরের স্কুল আইসিআইয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দত্তের মতে, সামগ্রিক ভাবে মুর্শিদাবাদ যে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে দু’টি পরীক্ষার সামগ্রিক ফল তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে।

মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম আশিক ইকবালকে নিয়ে সহপাঠীদের উচ্ছ্বাস। ভাবতায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম আশিক ইকবালকে নিয়ে সহপাঠীদের উচ্ছ্বাস। ভাবতায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ০৯:০১
Share: Save:

মাধ্যমিকের পর হাই মাদ্রাসাতেও পাশের হার কমল। ফলে মুর্শিদাবাদে উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে।

বহরমপুরের স্কুল আইসিআইয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দত্তের মতে, সামগ্রিক ভাবে মুর্শিদাবাদ যে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে দু’টি পরীক্ষার সামগ্রিক ফল তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। তিনি বলেন, “সামগ্রিক ভাবে সরকারি স্কুলের হাল আরও খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে। যদি জেলা শিক্ষা দফতর নজর না দেয় তবে জেলার গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ে শিক্ষক বেশি, কোথাও কোনও বিষয়ে শিক্ষকই নেই। এই সমস্যা জেলার গ্রামের স্কুলগুলিতে প্রকট। স্কুলে অতিরিক্ত ছুটি।’’ তিনি বলেন, ‘‘শহরে টিউশন নিয়ে পড়ুয়ারা ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও গ্রামে কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা পুরোটাই নির্ভর করে সরকারি স্কুলের পঠনপাঠনের উপরে। সরকারি স্কুলগুলিতে আরও বেশি পরিদর্শন দরকার।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পড়াশোনার বাইরে এত বেশি কাজ স্কুলগুলির উপরে চাপানো হয়েছে, যা পঠনপাঠন প্রচণ্ড ভাবে ব্যাহত করছে। প্রতিষেধক দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানোর মতো কাজও এখন স্কুলে। ফলে স্কুলে পড়াশুনোর সময় কমছে। এটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে গ্রামে। এর ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তি হবে না একটু স্বচ্ছল ঘরের ছেলে মেয়েরা।”

কান্দি রাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূমানন্দ সিংহের মতে, ‘‘ছেলেরা অষ্টম শ্রেণিতে উঠলেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। সারা বছর অনুপস্থিত থেকে যাচ্ছে স্কুলে। মেয়েরা বিড়ি বাঁধছে। ১৫-১৬ বছর হলেই বিয়ে। সরকারি সাহায্যের জন্য হয়ত স্কুলের খাতায় নামটা থাকছে। তা ছাড়া কোভিডের সময় স্কুলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থেকেছে গ্রামের ছেলেমেয়েরা, শহরে টিউশন নিতে পারলেও গ্রামাঞ্চলে সে সুযোগও নেই।”

রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলছেন, “এত ছুটি কেন? অভিভাবকেরাও বুঝে গেছে সরকারি স্কুলে পড়ে কিছু হওয়ার নয়। তাই সরকারি স্কুলে মেধাবি স্বচ্ছল ঘরের ছেলে মেয়েদের ভর্তি কমছে। তারা চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে কোনও মিশনে। সরকারি স্কুলে কন্যাশ্রীর জন্য নামটা থাকছে, কিন্তু ৯০ শতাংশ ছাত্রী আগ্রহী বিড়ি বাঁধায়। অন্তত ৪০ শতাংশ ছাত্র যাচ্ছে রাজমিস্ত্রির কাজে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madrasa Exam Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE