Advertisement
E-Paper

দুধ বিক্রি কম, মিষ্টি বানাচ্ছেন গোয়ালা

চাকদহের বিষ্ণুপুরের দুধের কারবারি রাকেশ ঘোষ জানান, এখন তো দুধের চাহিদা একেবারে তলানিতে।

মনিরুল শেখ

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০৩:২০
ছবি: পিটিআই

ছবি: পিটিআই

লকডাউন থেকে ছাড় মিলেছে মিষ্টির দোকানগুলির। কিন্তু মিষ্টির চাহিদা বেশ কম। ফলে গোয়ালাদের কাছ থেকে আগের মতো আর ছানা কিনছেন না দোকানদারেরা। তাই বাধ্য হয়ে দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ছানা বানাচ্ছেন। সেই ছানা থেকে রসগোল্লা। কেউ আবার দই তৈরি করছেন। পনিরও বানাচ্ছেন অনেকে। নিজেরাই সে সব বিক্রি করছেন।

চাকদহের বিষ্ণুপুরের দুধের কারবারি রাকেশ ঘোষ জানান, এখন তো দুধের চাহিদা একেবারে তলানিতে। আগে ছানারও চাহিদা ছিল ভালই। এলাকার ছানা চলে যেত কলকাতার বাজারে। কিন্তু লকডাউনের জেরে কলকাতায় ছানা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বাড়িতেই দুগ্ধজাত বিভিন্ন সামগ্রী বানিয়ে তা বিক্রি করছেন।

চাকদহের দুগ্ধচাষি শঙ্কর ঘোষ, তারক ঘোষেরা বলছেন, ‘‘আমরা তো লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ সংগ্রহ করি। সেটা বন্ধ করতে পারছি না। এ দিকে মিষ্টির দোকানগুলিতেও আগের মতো আর ছানা বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে এখন নিজেরাই মিষ্টি বানিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তা বিক্রি করছি।’’

কল্যাণীর এক দুগ্ধ ব্যবসায়ী বিধু ঘোষ জানান, গ্রামে যাঁদের বাড়ি থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয় তাঁদের তো দুধের দাম কম দেওয়া যাচ্ছে না। আর দুধ সংগ্রহ বন্ধও করা যাচ্ছে না। তা হলে তো গো-পালকেরা বেকায়দায় পড়বেন। এ দিকে ছানা বিক্রি কার্যত অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদেরই কাঁচা হাতে নানা রকমের মিষ্টি বানাতে হচ্ছে। এর ফলে সমস্যা হচ্ছে। দুধ সংগ্রহ করে ফের মিষ্টি বানানো বেশ কঠিন ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।

কল্যাণীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলীপ কুমার বলছেন, ‘‘এখন তো দেখছি প্রতিদিনই একাধিক লোক পাড়ায় এসে মিষ্টি বিক্রি করছেন। এতে করে লোকজন অবশ্য ঘরে বসেই মিষ্টি পাচ্ছেন।’’

West Bengal Lockdown Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy