Advertisement
০৩ মে ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

ভোটের মুখে জমজমাট তর্ক

মাইকে আমিরুল হুমকি দেন, “বাইরনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। আমরা যদি মনে করি বাইরন বিশ্বাসকে ঘর থেকে বেরোতে দেব না।”

 তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস।

তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। — ফাইল চিত্র।

বিমান হাজরা
শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৩৩
Share: Save:

হুমকির পাল্টা হুমকিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হচ্ছে শমসেরগঞ্জ।

এমনিতেই তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে শমশেরগঞ্জে। তার উপর সাগরদিঘিতে জিতে বিধায়ক হয়েছেন কোটিপতি শিল্পপতি বাইরন বিশ্বাস। ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেসের চার চার জন বিধায়ক ও সাংসদ এখন শমসেরগঞ্জে, যাঁরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে কখন কী হয়, তা নিয়ে এমনিতেই তটস্থ পুলিশ। তার উপর গত দু’সপ্তাহ ধরে তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের মধ্যে পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ ছোড়াছুড়ি শুরু হওয়ায় গোলমালের আশঙ্কা বাড়ছে। এই শাসানি দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে মাইকে। আর তাতেই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে। গত ২০ মার্চ আমিরুলের এক সমর্থককে বাইরন ফোনে হুমকি দিয়েছেন এই অভিযোগে আমিরুল শমসেরগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন বাইরনকে গ্রেফতারের দাবিতে।

মাইকে আমিরুল হুমকি দেন, “বাইরনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। আমরা যদি মনে করি বাইরন বিশ্বাসকে ঘর থেকে বেরোতে দেব না।”এই হুমকির জবাব দিতে বাইরন বেছে নেন এই মালদহের কালিয়াচকে আয়োজিত কংগ্রেসের এক সভাকে। সেই সভায় দেওয়া বাইরনের ভাষণ ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। শমসেরগঞ্জে ফোনে ফোনে ঘুরছে সেই ভিডিয়ো (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)।বাইরনকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমিরুল আপনাকে বলছি, ময়দানে লড়ব। কত ক্ষমতা আছে দেখব। আমাকে হারিয়ে দেখান। তুমি যত চাল, ডাল মানুষকে বিলি করেছ, যত কাপড় বিলি করেছ সব আমার টাকায়। ক্ষমতা থাকলে সামনে বাপের ব্যাটার মতো লড়ো। পিছন থেকে চাকু মেরো না। তারিখ দিয়ে লড়ো। কতটা ক্ষমতা আছে আমি দেখে নেব।” সে দিন সাংসদ খলিলুরকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বাইরন।

জঙ্গিপুরের তৃণমূল সভাপতি খলিলুর অবশ্য বলেন, “রাজনীতিতে কুবাক্য সব গোলমালের মূলে। সকলেরই সংযত হওয়া উচিত। নেতাদের মুখে এ সব শুনে মানুষ ভয় পাবেন। শমসেরগঞ্জকে সে পথে নিয়ে যাওয়া উচিত নয় কারওরই।”

কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘সব দলের নেতৃত্বের এ ব্যাপারে সংযত হওয়া দরকার। উত্তেজনা তৈরি হয় এমন কথা বলা কোনও জনপ্রতিনিধিরই উচিত নয়। কারণ, তার ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Amirul Islam Panchayat Election Bayron Biswas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE