সিপিএম নেতা অরুণ নন্দী হত্যা মামলায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করল তাঁর স্ত্রী উৎপলা নন্দী এবং নবকুমার দত্তকে। সোমবার নবদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক শুভার্থী সরকার চাঞ্চল্যকর এই মামলায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করা হবে।
২০১৩ সালের ৩১ মার্চ রাতে নবদ্বীপ পুরসভার কর্মী এবং সিপিএমের এক নম্বর শাখা সম্পাদক অরুণ নন্দী (৫৭) নিজের বাড়িতে নৃশংস ভাবে খুন হন। ঘটনার প্রায় বাইশ মাস পর ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, মৃতের স্ত্রী সরকারি হাসপাতালের নার্স উৎপলা নন্দী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ নবকুমার দত্তকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যদিও পরে অরুণবাবুর স্ত্রী উৎপলাই প্রথমে পুলিশের কাছে এফআইআর করে জানিয়েছিলেন ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। যদিও পুলিশ প্রথম থেকেই ডাকাতির ওই অভিযোগ নিয়ে সন্দিহান ছিল। ডাকাতি করতে এসে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছিলেন অরুণবাবুর পড়শিরাও। উল্টে তাঁদের অভিযোগের আঙুল ছিল অরুণবাবুর স্ত্রী উৎপলার দিকেই। কিন্তু তদন্ত শুরু করেও সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে পুলিশ প্রথমে কিছু করতে পারেনি।
গ্রেফতারের ছেষট্টি দিনের মাথায় নবদ্বীপ আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ৩৪৪ পাতার ওই চার্জশিটে পুলিশ অরুণ নন্দী হত্যায় তাঁর স্ত্রী উৎপলা নন্দী এবং নবকুমার দত্তের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ২০১ (সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট) ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মঙ্গলবার ভিড়ে ঠাসা আদালত কক্ষে দুই অভিযুক্তের উপস্থিতিতে এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন নবদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভার্থী সরকার। ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি দেবাশিস রায় এবং অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী সুবীর দেবনাথ, জয়দীপ মিত্র এবং মৃন্ময় প্রামাণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy