রতনকে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে পড়শি যুবক খুন করে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
রাত তখন ১১টা। রাতের খাবার খেয়ে বাবা, দাদা ও ভাইকে নিয়ে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন এক তরুণী। অভিযোগ, সেই সময় পড়শি এক যুবক মত্ত অবস্থায় ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। তরুণীর চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে পড়েন পরিবারের অন্য সদস্যেরা। পড়শি ওই যুবককে বাধা দেন ওই তরুণীর দাদা রতন মাঝি (৩৫)। তার পরে রতনকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে ওই পড়শি যুবক খুন করে বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে সালার কাগ্রামের উত্তরপাড়ার ঘটনা।
নিহত ওই যুবকের বাবা ধানু মাঝির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাধু মাঝি নামে পড়শি ওই যুবককে রবিবার রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন রাতে রতনও মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রাতে সাধু রতনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বোনের শ্লীলতাহানি করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়।
সেই সময় বোনের চিৎকার শুনে রতন-সহ পরিবারের অন্য লোকজন ঘুম থেকে উঠে সাধু মাঝিকে বাধা দেন। অভিযোগ, আর তার পরেই সাধু রতনকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তার পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিকে, দীর্ঘক্ষণ রতন বাড়ি ফিরছে না দেখে তাঁর বৃদ্ধ বাবা ধানু মাঝি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন, বাড়ির অদূরে একটি কালী মন্দিরের সামনে রতন মাটিতে পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে রতনকে উদ্ধার করে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা ধানু মাঝি বলেন, “আমরা দিনমজুরি করে কোনও মতে দিন গুজরান করি। এ দিকে, আমার ছোট মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সে আমাদের সঙ্গেই থাকে। এ দিন রাতে সেই মেয়ের সম্মান বাঁচাতে গিয়েছিল ছেলেটা। আর সেই কারণেই ছেলেটাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে সাধু। আমি ওর শাস্তি চাই।”
আর ওই তরুণীর অভিযোগ, “কয়েক বছর ধরেই সাধু মাঝি আমাকে উত্ত্যক্ত করে। ওর প্রস্তাবে রাজি হইনি বলে আমাকে এর আগেও হুমকি দিয়েছে। এ দিনও বাড়ি থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় দাদা বাধা দেয়। সেই কারণেই দাদাকে ও খুন করেছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত সাধু মাঝিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন ঘটনায় অবাক সাধুর পড়শিরাও। তাঁরা জানাচ্ছেন, এ ভাবে একটা ছেলেকে যে সাধু খুন করে ফেলতে পারে তা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না। সাধুর পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy