Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফড়ে রুখতে এ বার ভরসা বাউল

ধান কেনার পাশাপাশি, ধান কেনার পরিমাণ বাড়ানো, ফড়ে-রাজ আটকাতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় হওয়ার কথাও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৈঠক: বৃহস্পতিবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

বৈঠক: বৃহস্পতিবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩০
Share: Save:

সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রচারে লোকশিল্পীদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের খাদ্য স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। লোকশিল্পীদের গানের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ধান কেনার প্রচার চালানো হবে। ধানের দাম থেকে কোথায় কী ভাবে, কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে পারবেন, সে সব বিষয় গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনুপকুমার গায়েন বলেন, ‘‘জেলাপরিষদ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা তার প্রস্তুতি শুরু করছি।’’

ধান কেনার পাশাপাশি, ধান কেনার পরিমাণ বাড়ানো, ফড়ে-রাজ আটকাতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় হওয়ার কথাও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৈঠক শেষে জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘‘ধান বিক্রিতে ফড়েরাজ আটকাতে আমরা একাধিক পদক্ষেপ করেছি। এবারে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে লোকশিল্পীদের প্রচারে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। থাকবেন বাউলরাও।’’ তাঁর দাবি, তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মাধ্যমে তাঁদের প্রচারে নামানো হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘ধান কেনার নজরদারি বাড়াতে প্রতি দিন রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোন কোন এলাকায় প্রচার করা হবে, সে বিষয়েও জেলা খাদ্য আধিকারিককে তালিকা দিতে বলা হয়েছ।’’

জেলায় বকেয়া থাকা ডিজিটাল রেশনকার্ড দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ডব্লিবিইসিএসসি ধান কেনায় পিছিয়ে থাকায় ওই সংস্থার সঙ্গে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের আলোচনায় বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার এ বছর ১ লক্ষ ৮৮ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তারা মাত্র ২১ হাজার মেট্রিকটন ধান কিনতে পেরেছে।

নূন্যতম সহায়ক মূল্যের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। কুইন্টাল পিছু অন্তত পক্ষে ৪০০ টাকা করে কম। চাষিদের কাছ থেকে কম দামে সেই ধান কিনে ফড়েরা সরকারের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। ধান বিক্রি করার যে রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম রয়েছে। দু’কপি ছবি, সচিত্র পরিচয়পত্র, জমির কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে যে কেউ ধান কেনার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যায়। সেই নিয়মের ফাঁকফোকর দিয়ে ফড়েরাও ধান কেনার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করিরে নিচ্ছে। এ ছাড়া তারা সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করে দিচ্ছে। ফড়েদের এই দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া নি:দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ফড়েরাজ বন্ধ করতে জেলাপ্রশাসনও বৈঠক করেছে। কিসান মান্ডিগুলিতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Middlemen Rice Trading Zilla Parishad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE