দলীয় নেতৃত্বের কথায় কাজ হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটা তো দূর, আরও প্রকট হচ্ছে দিন দিন। সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি আকলেমা বিবির বিরুদ্ধে আগেই অনাস্থা এনেছেন দলের ১১ জন বিক্ষুব্ধ সদস্য। ১৪ নভেম্বর সেই অনাস্থা সভা হওয়ার কথা। তার আগেই সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনলেন দলের ওই বিক্ষুব্ধ ১১ জন সদস্য।
সাগরদিঘিতে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল চলছে বহু দিন। মূলত তৃণমূল নেতা সামশুল হুদা ও বিধায়ক সুব্রত সাহার মধ্যে বিবাদের জেরেই এই সঙ্কট। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন সে কথা মেনে নিয়ে বলেন, “দলের দু’গোষ্ঠীই অনড় থাকলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিক্ষুব্ধ ১১ জন সদস্যকে দল না ছাড়তে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁদের দাবি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যের মতামত নিয়ে সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হয়নি। তাই অনাস্থা এনে সভাপতিকে অপসারণ করবেন তাঁরা। এখন আবার সহ-সভাপতির বিরুদ্ধেও নতুন করে অনাস্থা আনা হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও বিরোধ মেটানো যাচ্ছে না।”
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা সামশুল হুদা বলেন, “পঞ্চায়েত সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন। তাদের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়ান সাগরদিঘির তৎকালীন ব্লক কমিটির সভাপতি মহম্মদ আলি-সহ স্থানীয় বেশিরভাগ নেতা ও কর্মী। জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন তাঁদের অনুরোধ করেন অনাস্থা তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল এরপরেও শনিবার সাগরদিঘি ব্লক সভাপতির পদ মহম্মদ আলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন ব্লক সভাপতি করা হয়েছে যাকে তিনি তিন বছর আগেও সিপিএমের মনিগ্রাম লোকাল কমিটির সদস্য এবং কৃষক সভার অঞ্চল সম্পাদক ছিলেন। এরপরেও তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর নেতৃত্বে কাজ করবেন কী ভাবে?” তৃণমূলের সদ্য অপসারিত ব্লক সভাপতি মহম্মদ আলি (মধু) বলেন, “আমরা তৃণমূল ছাড়িনি, ছাড়বও না। সাগরদিঘির বিধায়ক বহরমপুর থেকে দল চালাবেন তা-ও মানব না। মান্নান হোসেনের নেতৃত্ব মেনে সাগরদিঘিতে কাজ করবেন দলীয় কর্মীরা। কোনও অবস্থাতেই মানা হবে না দলীয় বিধায়ক সুব্রত সাহার কর্তৃত্ব।”
সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “রাজনৈতিক ভাবে এই জোড়া অনাস্থার মোকাবিলা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy