বাড়িতে মায়ের সঙ্গে অর্ণব। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
অঙ্কে কী করে ৯০ হল তা কোনও অঙ্কেই মেলাতে পারছে না অর্ণব সাহু। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৬০ পেয়ে জেলায় প্রথম হলেও অঙ্কের নম্বরে হতাশ রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলের ওই ছাত্র।
পরীক্ষার পরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দাদু প্রশ্ন ধরে ধরে হিসেব করে বলে দিয়েছিলেন, “তোর ৪৬০ পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।” দাদুর কথা নম্বরে নম্বরে সত্যি হয়েছে। ইন্টারনেটে নিজের ফল জানতে পেরে প্রথম ফোনটা দাদুকেই করেছিল অর্ণব। নাতির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শয্যাশায়ী দাদু অবশ্য নাতির বাড়িতে আসতে পারেননি।
অর্ণবের বাবা- মা দু’জনেই শিক্ষক। পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক বাবা নির্মলবাবু ছাড়াও আরও ৮ জন গৃহশিক্ষক ছিল অর্ণবের। ইতিহাসের শিক্ষিকা মা মৌসুমীদেবী বলেন, “আমরা দু’জনেই বেরিয়ে যেতাম স্কুলে। বাড়িতে একাই থাকত অর্ণব। মনখারাপ করলেই চলে যেত পাশেই দাদুর বাড়ি। দাদু অন্ত প্রাণ ছেলের। মাধ্যমিকে ওর ফল আশানুরূপ হয়নি। ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। তাই উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য ও খুব পরিশ্রম করেছিল। তারই ফল এবার ও পেল।”
তবে অর্ণবের আফশোস, “আর একটু হলেই তো রাজ্যের কৃতী দশ জনের তালিকায় উঠে যেতাম। আশা করেছিলাম অঙ্কে অন্তত ৯৬ আর পদার্থ বিজ্ঞানে ১০০ পাব। আরও একটু বেশি সময় দিলে হয়ত বাবার মতো অর্ণবেরও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান। মুক্তোর মতো হাতের লেখা অর্ণবের। শখ বলতে ছবি আঁকা। আর ছোট থেকেই খেলা পাগল। ভালবাসে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতে। অর্ণব যে খুব সময় ধরে পড়াশোনা করত, এমনটা নয়। কিন্তু সারাদিনে অন্তত পড়ার জন্য আট ঘণ্টা সময় সে ঠিক বের করে নিত। অর্ণবের লক্ষ্য ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার। এবারে জয়েন্টের পরীক্ষায় সে বসেছে। সফল হলে ভাল, না হলে ফের পরের বারের জন্য সে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছে অর্ণব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy