Advertisement
E-Paper

জঙ্গিপুরে ছাত্র সংঘর্ষ, জখম চার

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সময় যত এগিয়ে আসছে কলেজে কলেজে উত্তেজনা তত বাড়ছে। ফল সংঘর্ষ। বহরমপুরের কলেজের সংঘর্ষের এক সপ্তাহের মধ্যে আবার সংঘর্ষ জঙ্গিপুর কলেজে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার নামাতে হল বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর এই সংঘর্ষে বহিরাগতদের নিয়ে আসার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই, দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই। সংঘর্ষে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক-সহ দু’পক্ষের মোট চার জনকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৪
জঙ্গিপুর কলেজে ভাঙচুর হয়েছে ছাত্র সংসদ কার্যালয়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

জঙ্গিপুর কলেজে ভাঙচুর হয়েছে ছাত্র সংসদ কার্যালয়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সময় যত এগিয়ে আসছে কলেজে কলেজে উত্তেজনা তত বাড়ছে। ফল সংঘর্ষ। বহরমপুরের কলেজের সংঘর্ষের এক সপ্তাহের মধ্যে আবার সংঘর্ষ জঙ্গিপুর কলেজে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার নামাতে হল বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর এই সংঘর্ষে বহিরাগতদের নিয়ে আসার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই, দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই। সংঘর্ষে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক-সহ দু’পক্ষের মোট চার জনকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ দিন সকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈয়দ রেজাউল কবীরের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী কলেজে ছুটে যায়। কলেজে বড় ধরনের গোলমালের আশঙ্কায় বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ কলেজের সমস্ত ক্লাস বন্ধ করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নবকুমার ঘোষ এদিন কলেজের কাজে বহরমপুরে ছিলেন। তিনি বলেন, “বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও এসএফআই-এর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।”

এ দিকে এসএফআই এবং টিএমসিপি, দু’দলই রঘুনাথগঞ্জ থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে। কলেজগুলিতে ক্ষমতা দখলের জন্য ততই মরিয়া হয়ে উঠছে ছাত্র সংগঠনগুলি। জঙ্গিপুর কলেজে বরাবরই মূল লড়াইয়ে থেকেছে এসএফআই এবং ছাত্র পরিষদ। এই বছর ছাত্র পরিষদের একটি বিরাট অংশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু হয়েছে এসএফআই ও টিএমসিপি-র মধ্যে। গত জুন মাস থেকে দফায় দফায় একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জঙ্গিপুর কলেজে। অশান্তির জেরেই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকেও ইস্তফা দিতে হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর নয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন কলেজেরই রসায়নের অধ্যাপক নবকুমার ঘোষ।

এ দিনের সংঘর্ষের মূলেও ছাত্র সংসদ কার্যালয়কে ঘিরে। বর্তমানে ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের দখলে। সাধারণ সম্পাদক ইনজামুল হক বলেন, “এদিন সকালে ছাত্র সংসদ অফিসে পত্রিকা প্রকাশের জন্য লেখা বাছাইয়ের কাজ চলছিল। হঠাত্‌ জনা তিরিশেক বহিরাগত যুবক নিজেদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক পরিচয় দিয়ে জোর করে ছাত্র সংসদ অফিসে ঢুকে পড়ে। আমরা প্রতিবাদ করতেই বাঁশ, উইকেট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে আমাদের। গলার সোনার চেন, মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়। মিনিট পনের হামলা চালিয়ে তারা চলে যায়।”

এ দিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জঙ্গিপুরের আহ্বায়ক সাবির আলি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বহিরাগত তত্ত্ব। যদিও তিনি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওই কলেজেরই ছাত্র সামিম শেখ ছাত্র সংসদ অফিসে বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। কলেজের জিএস এবং এসএফআইয়ের কয়েকজন বহিরাগত কর্মীও ছিল। তখন সামিমও বহিরাগতদের নিয়ে সংসদ অফিসে ঢুকে এর প্রতিবাদ করে। সামিমকে বেধড়ক মারধোর করা হয়। পরে আমি প্রতিবাদ জানাতে গেলে জিএস-সহ জনা কুড়ি বহিরাগত এস এফ আই সমর্থক আমার উপর চড়াও হয়। পরে সামিমকে এবং আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।”

এসএফআইয়ের জঙ্গিপুরের জোনাল সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, “ছাত্র পরিষদের ছেলেরাই এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ হয়েছে। ছাত্র সংসদ দখল করতে এখন থেকেই গায়ের জোর খাটাতে বহিরাগতদের এনে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা বার বার দাবি জানিয়েছি ছাত্রদের পরিচয় পত্র দেখার জন্য। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। অশান্তির কারণ বহিরাগতদের উপস্থিতি।”

আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলার সাধারণ সম্পাদক রনি খান বলেন, “সংসদ অফিসে কলেজের ছাত্রদের থাকার কথা। কিন্তু সেখানে এসএফআই বহিরাগতদের নিয়ে প্রতিদিন আড্ডা জমাচ্ছে তাই নয়, জোর করে ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখিয়ে ফের ছাত্র সংসদ দখল করতে চাইছে এসএফআই। ছাত্ররা তাদের সমর্থনে নেই বুঝে বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে দাদাগিরি চালাচ্ছে তারা। এদিনের সংঘর্ষ তারই ফল।”

কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য শুক্রবার থেকেই কলেজে পুলিশ প্রহরা বসানোর আর্জি জানিয়েছে। তা না হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আরও বড় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে কলেজে।

আলোচনা চক্র। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হল তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় এশিয়ান কংগ্রেস অফ প্রোটিস্টলজি এবং নবম এশিয়ান কনফারেন্স অন সিলিয়েট বায়লজির আলোচনা চক্র। বৃহস্পতিবার কল্যাণী লেক হলে আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু। এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান কমিশন অফ প্রটিস্টলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক জুন কি ছোই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রবীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। চিন, ইংল্যান্ড, কানাডা, জাপান, ইতালি, সৌদি আরব, বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় একশো জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। চার বছর আগে কোরিয়ার জেজুতি ন্যাশনাল ইউনিভাসিটিতে এশিয়ান কমিশন অফ প্রোটিস্টলজিস্টের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার বিভাগের প্রধান প্রবীরবাবু বলেন, “প্রোটজোয়া ঘটিত বিভিন্ন রোগের আজও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর উপর গবেষণা চলছে। এই আলোচনায় গবেষণার ফলাফল গুলি আলোচনা করা হবে।”

injured clash students jangipur raiganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy