হাঁসখালি থানার এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে থানার ভিতরেই ধর্ষণের আভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু পরদিনই সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন স্বয়ং অভিযোগকারিণী। সোমবার ওই মহিলা কৃষ্ণনগর জেলা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রানাঘাট মহকুমা আদালতে লিখিতভাবে জানান যে পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় থানার ভিতরেই ধর্ষণ করেন এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনায় বিচারকের নির্দেশে হাঁসখালি থানার ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। শান্তিপুরের সিআই চম্পকরঞ্জন চৌধুরীকে তদন্তের ভার দেওয়াও হয়।
কিন্তু মঙ্গলবার ওই মহিলাকে কৃষ্ণনগরের জেলা সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে তিনি রাজি হননি। এরপর ফিরে গিয়ে রাতেই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানান যে তার আনা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা।
সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই মহিলা জানিয়েছেন শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যই সে ওই অভিযোগ এনেছিলেন। সংশোধনাগারের সুপার নন্দনকুমার বড়ুয়া বলেন, “ওই বন্দি পরে লিখিতভাবে আমাদের জানিয়েছেন যে তাঁর আনা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমরা তার সেই লিখিত বয়ান আদালত ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।” জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “ওই মহিলা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন কারও প্ররোচনায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।”
এদিকে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম গণেশ মহান্ত। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণেশ তাঁর শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশী ওই ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকার বাসিন্দারা গণেশবাবুকে আটক করে রাখেন। পরে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy